১৯৫৯ সালে স্বৈরাচারী বাতিস্তা সরকারকে উৎখাত করে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কিউবায় সমাজতান্ত্রিক শাসনের সূচনা করেছিলেন ফিদেল কাস্ত্রো। ২০১৬ সালের ২৫ নভেম্বর তার মৃত্যু হয়। দক্ষিণ আমেরিকার জনপ্রিয় এই নেতার ঘনিষ্ঠ ছিলেন আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনা। চলেও গেলেন কাস্ত্রোর প্রয়াণের দিনেই।
বিশ্বকাপ ফুটবলে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ১৯৮৬ সালেই প্রথমবারের মতো কিউবায় যান ম্যারাডোনা। সেবার কাস্ত্রোর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তার মুখে কিউবান বিপ্লবের গল্প শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন ম্যারাডোনা। উপহার হিসেবে নিয়ে গিয়েছিলেন ফুটবলের জার্সি।
এরপরে ইতালিতে খেলতে যেয়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন ম্যারাডোনা। ১৯৯৪ সালে বিশ্বকাপ থেকেও বাদ পড়ে যান। ম্যারাডোনার জীবনের এক কঠিন দুঃসময় তখন। এ সময় কিউবায় তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে এগিয়ে আসেন কাস্ত্রো। ম্যারাডোনাকে ভর্তি করা হয় দেশটির লা পেদ্রেরা ক্লিনিকে।
কিউবায় চিকিৎসার নেয়ার সময় কাস্ত্রোর সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে তার। চিকিৎসার পর স্বাভাবিক জীবনে ফেরেন তিনি। অনেকের মতে, কাস্ত্রোর উদ্যোগই ম্যারাডোনার জীবন বাঁচিয়েছিল।
২০১৬ সালে কাস্ত্রোর মৃত্যুর সময় ক্রোয়েশিয়ায় ছিলেন ম্যারাডোনা। শোকাহত ম্যারাডোনা বলেছিলেন, ‘আমার কাছে কাস্ত্রো ছিলেন একজন বাবার মতো। ক্রোয়েশিয়ার কাজ শেষ হলেই আমি কিউবায় যাব, আমার বন্ধুকে বিদায় জানাতে। তিনি এমন এক সময়ে আমার জন্য কিউবার দরজা খুলে দিয়েছিলেন যখন আর্জেন্টিনার দরজাগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল।’