সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে চুক্তি করায় ২০২১ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার সঙ্গে আবুধাবির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদকেও মনোয়ন দিয়েছেন ১৯৯৮ সালের শান্তি পুরস্কারজয়ী উত্তর আয়ারল্যান্ডের রাজনীতিক লর্ড ড্যাভিড ট্রিম্বল।
নোবেল কমিটির নিয়ম অনুযায়ী লর্ড ট্রিম্বল নিজে নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী হওয়ায় যে কাউকে মনোয়ন দিতে পারেন। কমিটি তার মনোনয়নকে বিবেচনা করে দেখবে।
মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ খবর জানিয়েছে।
এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে চুক্তি স্বাক্ষর করে ইউএই ও বাহরাইন।
ফিলিস্তিনে দখলদারিত্বের কারণে ইসরায়েলকে বয়কট করে আসছিল আরব দেশগুলো।
১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্মের পর থেকেই আরব দেশগুলো একে বয়কট করে এসেছে। তবে এরই মধ্যে চারটি আরব দেশ ইসরায়লকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তারা হলো মিসর, জর্ডান, ইউএই ও বাহরাইন।
বিশ্বের বাকি মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোরও স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে ইসরায়েল।
ফিলিস্তিনিরা বলছে, দখল করা অঞ্চল থেকে ইসরায়েল সরে গেলেই কেবল মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
এ বছর জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি শান্তি পুরস্কার পেয়েছে। আগামী বছরের অক্টোবরে নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।
নেতানিয়াহুর আগে আরও তিন ইসরায়েলি নোবেল শান্তি পুরস্কার পান।
১৯৭৯ সালে মিসর-ইসরায়েল শান্তিচুক্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী মেনাচেম বেগিন ও মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত। ১৯৯৩ সালে অসলো চুক্তির জন্য পরের বছর যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান ইসরায়লের প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিমন পেরেস ও ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত।