ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট লোভী, ভোগী আর ত্যাগীর মধ্যে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। করোনা আবহাওয়ার মধ্যেই এখন থেকে পুরোদমে শুরু হয়েছে বাক্যুদ্ধ। মূল লড়াই ক্ষমতাসীন তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপি এবং বাম-কংগ্রেস জোটের।
বুধবার বাঁকুড়া জেলার শুনুকপাহাড়ি হাটের মাঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সিপিএম লোভীর দল। বিজেপি ভোগীর। তৃণমূল হচ্ছে ত্যাগী।’
বাঁকুড়ার মঞ্চ থেকে বামদেরও আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, ‘সিপিএমের হার্মাদরাই এখন বিজেপি হয়েছে। রংটাই শুধু বদলেছে। বাকি সব একই রয়েছে।’
নিজের সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি তুলে ধরার পাশাপাশি মমতা জানান, জুন মাস পর্যন্ত বিনা পয়সায় রেশন দেবে রাজ্য সরকার। বাঁকুড়ার উন্নয়নে একগুচ্ছ কর্মসূচিও ঘোষণা করেন তিনি।
সেই সঙ্গে তৃণমূল নেতার প্রশ্ন, ‘বাঁকুড়ায় একসময় সিপিএম অত্যাচার করত। বহু মানুষ ঘরছাড়া ছিল। জঙ্গলমহলের মানুষ ভয়ে বেরোতে পারত না। বাঁকুড়া কী সেই ভয়ের দিনগুলো ভুলে গিয়েছে?’
তবে পাল্টা সুর চড়িয়েছে বিজেপিও। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বুধবারই বহরমপুরে বলেন, ‘ব্যাপক সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। বিজেপি ক্ষমতায় এলে অপরাধীদের প্রতিশোধ হবে।’
একই সঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘বিধানসভা ভোটে বুথের ধারে কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হবে না রাজ্যের পুলিশকে। কেন্দ্রের আধা সেনাদের দিয়ে ভোট করানো হবে।’
তৃণমূল-বিজেপির এই বিবৃতি যুদ্ধের মধ্যে সিপিএম উভয়কেই আক্রমণ করছে। বৃহস্পতিবার বামপন্থী শ্রমিকদের ডাকে ভারত বন্ধ।
সিপিএম নেতা বিমান বসুর মতে, তৃণমূল ও বিজেপি উভয়ই খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের স্বার্থের পরিপন্থী। গরিব মানুষের স্বার্থে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকেই বেছে নেবেন বাংলার মানুষ।