বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বাধীন ফিলিস্তিন হলে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি: পাকিস্তান

  •    
  • ২৫ নভেম্বর, ২০২০ ১৫:১৯

ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয় বিবেচনা করছে পাকিস্তান, এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের আত্ম-নিয়ন্ত্রণের অদম্য অধিকারকে অবিচলভাবে সমর্থন করে পাকিস্তান। এটা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়বে না তারা।

ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়ার শর্ত দিয়েছে পাকিস্তান। দেশটি বলেছে, ফিলিস্তিনিদের কাছে গ্রহণযোগ্য, স্বাধীন ও টেকসই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত তারা ইহুদি রাষ্ট্রটির সঙ্গে সম্পর্ক গড়বে না।

মঙ্গলবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি জানান বলে ভয়েস অফ আমেরিকার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয় বিবেচনা করছে পাকিস্তান—বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে অনবরত এমন অনুমাননির্ভর প্রতিবেদন ও মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি এ কথা জানিয়েছে।

প্রতিবেদনগুলোকে ভিত্তিহীন অনুমান হিসেবে মন্তব্য করেছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জোর দিয়ে বলা হয়, ফিলিস্তিনিদের আত্ম-নিয়ন্ত্রণের অদম্য অধিকারকে অবিচলভাবে সমর্থন করে পাকিস্তান। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘পরিষ্কার ও দ্ব্যর্থহীন’।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এটা পরিষ্কার করেছেন যে, ফিলিস্তিনিদের জন্য ন্যায়সঙ্গত মীমাংসা নিশ্চিত হওয়ার আগে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে না পাকিস্তান।’

কেবল স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র নয়, পাকিস্তানের শর্ত, ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের আগে ফিলিস্তিনের যে সীমানা ছিল, সেটাও ফিরিয়ে আনতে হবে।

পাকিস্তানের অবস্থান তুলে ধরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘ন্যায্য ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তির লক্ষ্যে জাতিসংঘ ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) প্রস্তাব অনুযায়ী দুই-রাষ্ট্র সমাধান অপরিহার্য, যেখানে ১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত এবং আল-কুদস আল-শরিফকে একটি টেকসই, স্বাধীন ও অভিন্ন সীমান্তের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হবে।’

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা হয়। যে ভূখণ্ডে ইহুদিদের একমাত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়, তাকে পবিত্র ভূমি হিসেবে দাবি করে মুসলমান ও খ্রিষ্টানরা। আর সেখানে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন চলছে।

মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর মধ্যে ইসরায়েল নিয়ে আপত্তি শুরু থেকেই। ১৯৬৭ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে ফের বড় যুদ্ধে জড়ায় আরব দেশগুলো। এতে ইসরায়েলের জয়ের পর দেশটি ফিলিস্তিনিদের আরও ভূখণ্ড নিজেদের আয়ত্তে নিতে শুরু করে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্কের সূচনা করে। আরও দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী দেশটি।

ধর্মের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠা পাওয়া আরেক রাষ্ট্র পাকিস্তান কখনো ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি; বরং একে শত্রুরাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে দেশটি। 

আরবের কয়েকটি দেশ ইহুদি রাষ্ট্রটিকে স্বীকৃতি দেয়ার পর পাকিস্তানও এ পথে যায় কি না, এ নিয়ে আলোচনা তৈরি হয়। আর এ জন্য ইমরান খানের ওপর চাপ দেয়া হচ্ছে বলেও প্রচার আছে।

এ বিভাগের আরো খবর