বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ধর্ষণকারীকে খোজা করার বিধান রেখে পাকিস্তানে অধ্যাদেশ

  •    
  • ২৫ নভেম্বর, ২০২০ ১৩:৩৩

ধর্ষণবিরোধী (তদন্ত ও বিচার) অধ্যাদেশ-২০২০ ও পাকিস্তান দণ্ডবিধি (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২০ অনুমোদনকে ‘বিরাট সিদ্ধান্ত’ হিসেবে উল্লেখ করেছে পাকিস্তান সরকার।

ক্রমবর্ধমান ধর্ষণ রোধে দুটি অধ্যাদেশ অনুমোদন করেছে পাকিস্তান।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, অধ্যাদেশে ‘ধর্ষণের সংজ্ঞা পরিবর্তন’ করা হয়েছে। ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে রাসায়নিক ব্যবহার করে খোজাকরণ ও ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। তবে প্রকাশ্যে এসব শাস্তি দেয়া হবে না।

ধর্ষণবিরোধী (তদন্ত ও বিচার) অধ্যাদেশ-২০২০ ও পাকিস্তান দণ্ডবিধি (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২০ অনুমোদনকে ‘বিরাট সিদ্ধান্ত’ হিসেবে উল্লেখ করেছে পাকিস্তান সরকার।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশটির আইনে প্রথমবারের মতো ‘ট্রান্সজেন্ডার’ ও ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’ অন্তর্ভুক্ত করে ধর্ষণের সংজ্ঞা পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনটিতে চিকিৎসকদের বিতর্কিত ‘দুই-আঙুল’ পরীক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়।

মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী শিবলি ফারাজ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ধর্ষণবিরোধী অধ্যাদেশ দুটি অনুমোদন করেছে, যা ধর্ষণের মৌলিক সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনবে। একই সঙ্গে সংঘবদ্ধ ধর্ষণে কঠোর শাস্তি ও ধর্ষণকারীদের ফাঁসির বিধান রাখা হয়েছে।’

এক সপ্তাহের মধ্যে অধ্যাদেশগুলো চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।

পাকিস্তানের মানবাধিকার মন্ত্রী ড. শিরিন মাজারি টুইট বার্তায় বলেন, ‘ক্যাবিনেট কমিটি অন ডিসপোজাল অফ লেজিসলেটিভ কেসেস (সিসিএলসি) অধ্যাদেশগুলো চূড়ান্ত করবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সেসব কার্যকর হবে।

‘ধর্ষণের বিস্তৃত সংজ্ঞা, বিশেষ আদালত স্থাপন, ধর্ষণবিরোধী সংকট সেল, ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীর নিরাপত্তা এবং দুই-আঙুল পরীক্ষা নিষিদ্ধের বিষয় অধ্যাদেশে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর