বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উইঘুররা নির্যাতনের শিকার: পোপ

  •    
  • ২৪ নভেম্বর, ২০২০ ১০:৪৭

১৫০ পৃষ্ঠার বইয়ের এক জায়গায় পোপ বলেন, ‘নির্যাতিত মানুষের কথা আমি সবসময় ভাবি: রোহিঙ্গা, দরিদ্র উইঘুর, ইয়াজিদি।’

প্রথমবারের মতো চীনের ধর্মীয় সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমানদের ‘নির্যাতিত’ বলে মন্তব্য করেছেন রোমান ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় গুরু পোপ ফ্রান্সিস।

নিজের লেখা একটি বইয়ে এ মন্তব্য করেন ভ্যাটিকান সিটির প্রধান।

পোপ ফ্রান্সিস নিজের জীবনীকার অস্টেন আইভেরির সঙ্গে মিলে ‘লেট আস ড্রিম: দ্য পাথ টু এ বেটার ফিউচার’ শিরোনামের বইটি লিখেছেন।

১৫০ পৃষ্ঠার বইয়ের এক জায়গায় পোপ বলেন, ‘নির্যাতিত মানুষের কথা আমি সবসময় ভাবি: রোহিঙ্গা, দরিদ্র উইঘুর, ইয়াজিদি।’

বইটির ওই অধ্যায়ে মুসলমানপ্রধান দেশগুলোতে খ্রিষ্টানদের নির্যাতনের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি।

এর আগে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর গণহত্যায় দেশটি ছেড়ে পালানো জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা ও ইরাকের ইয়াজিদিদের হত্যার বিরুদ্ধে কথা বলেন পোপ।

তবে এই প্রথমবার পোপ উইঘুরদের পক্ষে মুখ খুলেছেন বলে দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানানো হয়।

চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুরদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার কথা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দেশের ধর্মীয় নেতা, অধিকারকর্মী ও সরকারগুলো বলে আসছে।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১০ লাখেরও বেশি উইঘুরকে ক্যাম্পে বন্দি করে রেখেছে চীন।

তবে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের লক্ষ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে জানিয়ে চীন বরাবরই সেগুলো নাকচ করে আসছে।

দেশটির ভাষ্য, সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদ বিরোধী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ক্যাম্পগুলোকে মূলত কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

বিশপ নিয়োগ বিষয়ে চীনের সঙ্গে বিতর্কিত একটি চুক্তি নবায়ন প্রক্রিয়ার কারণে এতদিন উইঘুরদের পক্ষে কথা বলতে ভ্যাটিকান অনিচ্ছুক ছিল বলে অনেকে ধারণা করছেন।

সেপ্টেম্বরে চুক্তিটি নবায়ন করা হয়। ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে ভ্যাটিকানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। 

চলতি বছরের ডিসেম্বরে পোপের বইটি বাজারে আসার কথা রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর