বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ আর নেই

  •    
  • ২৩ নভেম্বর, ২০২০ ২০:১১

সোমবার ভারতীয় সময় বিকেল পাঁচটা ৩৩ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ২০০১ সালে তরুণ গগৈর নেতৃত্বেই অসমে ক্ষমতায় ফেরে কংগ্রেস। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। টানা ১৫ বছর তিনিই ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।

করোনাভাইরাসে ভারতের আরও এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের জীবনাবসান ঘটল। সোমবার অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তরুণ গগৈ মারা গেছেন। সোমবার ভারতীয় সময় বিকেল পাঁচটা ৩৩ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

২৬ আগস্ট কোভিড আক্রান্ত হয়ে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন গগৈ। পরে সুস্থ হয়ে তিনি বাড়িও ফিরেছিলেন। কিন্তু শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়ায় তাকে ১ নভেম্বর আবার জিএমসি-তেই ভর্তি করা হয়।

শনিবার থেকেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ গগৈয়ের আরোগ্য কামনায় মন্দিরে ও মসজিদে দোয়া করেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।

চিকিৎসকদের সব চেষ্টাকে হার মানিয়ে সোমবার তরুণ গগৈ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। উত্তর পূর্ব ভারতের বর্ষীয়াণ এই কংগ্রেস নেতার মৃত্যুতে অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে দল। নেমে আসে শোকের ছায়া।

অসমের তাই-অহম জনগোষ্ঠীর এই প্রবীণ নেতা স্ত্রী ডলি, ছেলে গৌরব ও মেয়ে চন্দ্রীমাকে রেখে গেছেন। গৌরব ভারতের জাতীয় সংসদের সদস্য।

২০০১ সালে তরুণ গগৈর নেতৃত্বেই অসমে ক্ষমতায় ফেরে কংগ্রেস। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। টানা ১৫ বছর তিনিই ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৬ সালে পরাস্ত হলেও ২০২১-এ ফের কংগ্রেসকে ক্ষমতায় আনার বিষয়ে ছিলেন আত্মবিশ্বাসী।

আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, আর মুখ্যমন্ত্রী হতে চান না তিনি। চেয়েছিলেন কংগ্রেসকে ক্ষমতায় আনতে। আমৃত্যু কংগ্রেস-ই করেছেন তিনি। কখনও দল ছাড়েননি।

বহুদিন ধরেই সর্বভারতীয় রাজনীতির পরিচিত মুখ তরুণ গগৈ। প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধি থেকে রাজীব গান্ধি, দুই জনই গগৈকে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় রাজনীতিতে গুরুত্ব দিয়েছিলেন।

প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী  পিভি নরসিমা রাওয়ের আমলে তিনি ছিলেন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রণালয়ের স্বাধীন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী। ছয়বার তিনি নির্বাচিত হয়েছেন লোকসভা সদস্য।

২০০১ সাল থেকে রাজ্য বিধানসভার সদস্য। টানা ১৫ বছর অসমের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে রেকর্ড করেছেন তিনি। এত দীর্ঘ সময় অসমে কেউ মুখ্যমন্ত্রী থাকেননি।

তার মৃত্যুতে অসমে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, বিরোধী দলনেতা দেবব্রত শইকিয়া থেকে শুরু করে দলমত নির্বিশেষে সমাজের সব স্তরের মানুষ শোক ব্যক্ত করেছেন।

তরুণ গগৈয়ের মৃত্যুতে অসম-সহ গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলের এক বর্ণময় রাজনৈতিক অধ্যায়ের অবসান ঘটল।

এ বিভাগের আরো খবর