লোহিত সাগরের তীরঘেঁষা জেদ্দা শহরে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান আরামকোর একটি বিতরণ কেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের একটি দল।
তবে এ বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলে আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে।
সৌদি আরবে অবস্থান করা বিদেশি কোম্পানি ও বাসিন্দাদের ওপর এ ধরনের ‘অভিযান চলতে থাকবে’ বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন হুতি বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্র।
বিশ্বের বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আরামকোর বেশির ভাগ কার্যক্রমই চলে সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে, যা জেদ্দা থেকে এক হাজার কিলোমিটারের চেয়ে বেশি দূরে অবস্থিত।
হুতিদের হামলার দাবি নিয়ে আরামকোর ভাষ্য জানতে চাইলে বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি তারা।
অন্যদিকে হুতি বিদ্রোহীদের মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারেয়া জানান, কুদস-২ উইগড মিসাইল দিয়ে হামলা চালায় তারা। হামলাস্থলের একটি স্যাটেলাইট ইমেজও পোস্ট করেছেন তিনি।
স্যাটেলাইট ইমেজটির সঙ্গে গুগল ম্যাপ মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, জায়গাটি জেদ্দার উত্তর উপকণ্ঠে অবস্থিত আরামকো তেল কোম্পানির বিতরণ কেন্দ্র।
সারেয়া বলেন, ‘হামলাটি ছিল খুব নিখুঁত। সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় অ্যাম্বুলেন্স অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রবাহী গাড়ি।’
হুতিদের হামলা চালানো এলাকাটি জেদ্দার আব্দুলাজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অল্প দক্ষিণে। এই বিমানবন্দর দিয়ে পাশ্ববর্তী মক্কায় হজ পালন করতে যান অনেকে।
২০১৪ সালে হুতি বিদ্রোহীদের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত ইয়েমেনি সরকারকে ফের ক্ষমতায় বসাতে ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবেশী দেশটিতে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। এতে গভীর সংকটে পড়েছে দেশটি।