পশ্চিমবঙ্গ কি পশ্চিম বাংলাদেশ? প্রশ্ন তুললেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্য রাজনীতিতে ‘বহিরাগত’ বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলতে গিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আগামী বছরের এপ্রিল-মে মাসে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচন। এর আগে রীতিমতো বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। করোনাকালেও চলছে ভোটের প্রস্তুতি। সব দলই নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে তৎপর।
বিজেপি ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ জয়ের লক্ষ্যে তাদের দিল্লির নেতাদের পাঠাতে শুরু করেছেন। অবাঙালি নেতারা রাজ্যের বিভিন্ন জেলার দায়িত্বে। তারাই ভোটের কৌশল রচনার পাশাপাশি সাংগঠনিক দিক দেখবেন।
আর তাই পাল্টা হিসাবে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নেতারা ‘বহিরাগতদের’ নিয়ে কটাক্ষ শুরু করেছেন। তৃণমূলের সাফকথা, ‘বাইরের লোকেদের মানবেন না বাংলার মানুষ।’
তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষের অভিযোগ, ‘বিজেপি অবাঙালিদের নিয়ে এসে বাঙালির আবেগকে আঘাত করছে। আসলে বিজেপির রাজ্য নেতারা অপদার্থ। তাই আনা হচ্ছে বিজেপির বাইরের নেতাদের।’
তৃণমূলকে পাল্টা কটাক্ষ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের- ‘পশ্চিমবঙ্গ ভারতেরই অঙ্গরাজ্য। তাই যে কেউই আসতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রী কি মনে করেন পশ্চিমবঙ্গ পশ্চিম বাংলাদেশ হয়ে গিয়েছে?’
রোববার উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে ‘গো-অষ্টমি’ উৎসবেও যোগ দেন দিলীপ। সেখানে তিনি বলেন, ‘ভারতীয় কৃষির মেরুদণ্ড হচ্ছে গোসম্পদ।’ সকালে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদস্যদের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি।
এবারের বিধানসভা ভোটে বিজেপি হিন্দু আদিবাসী ভোটকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই তাদের সাবেক সভাপতি তথা ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাঁকুড়ায় গিয়ে আদিবাসী বাড়িতে খেয়ে আসেন।
তারই পাল্টা হিসাবে রোববার বাঁকুড়া সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেখানে তিনি প্রশাসনিক বৈঠকের পাশাপাশি তৃণমূলের রাজনৈতিক জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবেন বলে অনেকে মনে করছেন।
উল্লেখ্য, গত লোকসভা ভোটে বাঁকুড়ার দুটি আসনেই হেরেছিল তৃণমূল।