বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জম্মু–কাশ্মিরে নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনা

  •    
  • ২২ নভেম্বর, ২০২০ ১৯:৩৪

২৮ নভেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে সেখানে অনুষ্ঠিত হবে জেলা উন্নয়ন পর্ষদের নির্বাচন। বিজেপির কাছে এ নির্বাচনের গুরুত্ব অনেক বেশি।

সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের পর প্রথম নির্বাচন হতে চলেছে জম্মু–কাশ্মিরে। নির্বাচনকে ঘিরে উপত্যকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা এখন প্রবল।

একদিকে রাজ্যের বিরোধী দলগুলির জোট ‘পিপলস এলায়েন্স ফর গুপকার ডিক্লারেশন’ ও কংগ্রেস, অন্যদিকে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি।

২৮ নভেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে সেখানে অনুষ্ঠিত হবে জেলা উন্নয়ন পর্ষদের নির্বাচন। বিজেপির কাছে এ নির্বাচনের গুরুত্ব অনেক বেশি। সেই সঙ্গে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরেও এই নির্বাচনের প্রভাব পড়বে।

প্রায় প্রতিদিনই পালা করে রাজনৈতিক দলগুলির নেতারা বিষোদ্গার করে চলেছেন একে ওপরের বিরুদ্ধে। এমনকি বিজেপি নেতারা একই দিনে দু বার সংবাদ সম্মেলন করছেন জম্মু-কাশ্মির ইস্যুতে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দীর্ঘ টুইট করে আক্রমণ করছেন বিরোধী জোট ও কংগ্রেসকে। বিপরীতে বিরোধী জোটের হয়ে প্রায় প্রতিদিনই বিবৃতি দিচ্ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, ফারুক আব্দুল্লারা। 

পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি এমনও অভিযোগ করেছেন, গুপকার জোটের প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা চালাতে দিচ্ছে না বিজেপি। 

বিজেপির রাজনৈতিক অঙ্ক অনুযায়ী এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। বিজেপির এক শীর্ষস্থানীয় নেতা আলাপচারিতায় সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘মেহবুবা মুফতি ও ফারুক আব্দুল্লার মধ্যে সমঝোতা হতে পারে না, এটাই ছিল আমাদের পরিকল্পনার প্রথম ভিত্তি। দ্বিতীয়ত, ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ব্যাপারে বিরোধীরা যদি তাদের পূর্ব ঘোষণায় স্থির থাকে, তবে জম্মু-কাশ্মিরের স্থানীয় প্রশাসনের রাজনৈতিক দখল নেওয়াটা অনেক সহজ হয়ে যেত।'

কিন্তু অঙ্ক মেলেনি বিজেপির। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপিসহ উপত্যকার বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের বিরোধী জোটকে ‘‌গুপকার গ্যাং’‌ বলে কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

ভারতের সংবিধানে ৩৭০ ধারায় জম্মু-কাশ্মিরকে যে বিশেষ রাজ্যের স্বীকৃতি দেয়া ছিল, তা বাতিল করে দেয়ার পর এটাই প্রথম নির্বাচন ওই রাজ্যে। এই নির্বাচনে বিজেপির প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সমর্থনে প্রার্থীরা জিতে জেলা উন্নয়ন পর্ষদ দখল করলে প্রচার করা যাবে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের কাশ্মির নীতির পক্ষে দাঁড়িয়েছে সেখানকার আমজনতা। আন্তর্জাতিক স্তরেও কেন্দ্রীয় সরকার প্রচার করতে পারবে কাশ্মীরের মানুষ উন্নয়নের স্বার্থে মেনে নিয়েছে ৩৭০ ধারা বিলোপ।    

বিরোধী জোট নির্বাচনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনা ভীষণভাবেই ধাক্কা খায়। স্বভাবিকভাবে নতুন অঙ্ক কষতে হচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বকে।

কী সেই অঙ্ক? নানা আশংকার চোরাবালিতে ঘুরপাক খাচ্ছে সেই প্রশ্ন। মেহবুবা মুফতি বলেছেন, ‘‌বিজেপি বরাবরই বিরোধী কণ্ঠকে দমাতে চেয়েছে। আসল ইস্যু থেকে নজর ঘোরানোই তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। এত বড় জয় পেয়ে ক্ষমতায় এসেছে, তাও কোনো ভবিষ্যত–পরিকল্পনা নেই। তবে কেন্দ্রকে ধন্যবাদ জানাবো, তাদের জন্যই আজ উপত্যকার সবকটি রাজনৈতিক দল এক ছাতার তলায় আসতে পেরেছে। আমরা এক সঙ্গে লড়ে কাশ্মিরের মর্যাদা ফিরিয়ে আনব।’‌ 

তিনি বলেন, ‘‌জেলা উন্নয়ন পর্ষদের নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের ভারতবিরোধী বলে প্রচার চালানো হচ্ছে। কিন্তু আমরা ভারতের সংবিধান মেনে চলার শপথ নিয়েছি। জম্মু–কাশ্মিরের সংবিধানও ভারতীয় সংবিধানেরই অংশ। আমার বাবা একজন গর্বিত ভারতীয় এবং গর্বিত কাশ্মিরি ছিলেন। জম্মু–কাশ্মিরের সংবিধানকে তছনছ করা হয়েছে।’‌ 

এ বিভাগের আরো খবর