যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে লাফিয়ে। শনাক্তের সংখ্যা এরই মধ্যে ছাড়িয়ে গেছে এক কোটি ২০ লাখ। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও।
করোনা সংক্রান্ত নিজস্ব হিসাব তুলে ধরে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, স্থানীয় সময় শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ১ কোটি ২০ লাখ ১০ হাজার।
গত কিছুদিন ধরে প্রতিদিনই রেকর্ড শনাক্ত দেখে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। চব্বিশ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ছাড়িয়ে গেছে আগের সব রেকর্ড, এক লাখ ৯৬ হাজার ৮১৫।
গত এক দিনে যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে আরও দুই হাজারের বেশি মানুষের। তাতে মোট মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দুই লাখ ৫৫ হাজার।
করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর বৈশ্বিক তালিকায় অনেক আগে থেকেই শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে দেশটির মধ্যপশ্চিম অঙ্গরাজ্যগুলোতে সংক্রমণের মাত্রা বেশি চলছে।
পরিস্থিতি বেগতিক হওয়ায় মাস্কপরা মাধ্যতামূলক করেছে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য।
করোনার সংক্রমণের মধ্যে ২৬ নভেম্বরে থ্যাংকসগিভিং ছুটির দিনে দেশবাসীকে চলাফেরা ভ্রমণ এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)।
থ্যাংকসগিভিং সপ্তাহ আমেরিকানরা ব্যাপকভাবে উদযাপন করে থাকে। গত বছর এ উৎসব উপলক্ষে দুই কোটি ৬০ লাখ মানুষ বিমানবন্দরগুলো দিয়ে আসা যাওয়া করেছিল।
এদিকে, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে ক্যালিফোর্নিয়াতে। টেক্সাসের পর অঙ্গরাজ্যটি অপ্রত্যাশিত এমন মাইলফলক দেখল।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাত্রিকালীন কারফিউ আরোপের পথ বেছে নিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া কর্তৃপক্ষ। শনিবার থেকে শুরু হওয়া কারফিউয়ের এই বিধিনিষেধ প্রতিদিন কার্যকর থাকবে স্থানীয় সময় রাত ১০টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত।
আপাতত কারফিউ চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত, প্রয়োজনে সময় আরও বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
করোনা সংক্রমণ ব্যাপক বাড়ায় ক্যালিফোর্নিয়ার ৫৮টি কাউন্টির ৪১টিতেই জনগণকে বাড়িতে অবস্থান নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কাউন্টিগুলোতে অঙ্গরাজ্যটির মোট ৯৪ শতাংশ মানুষের বাস। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ায় মোট জনগণ প্রায় ৪ কোটি।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নিউ ইয়র্কেও রাত্রীকালীন কারফিউ পরিচালনা করছে। বার, রেস্টুরেন্ট ও জিমগুলোতে রাতের ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে স্কুলগুলো।