বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ত্রিপুরায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ২

  •    
  • ২১ নভেম্বর, ২০২০ ১৯:৫৭

মিজোরামে জাতিগত দাঙ্গার কারণে ১৯৯৭ সালে প্রায় ৩৫ হাজার রিয়াং ত্রিপুরায় চলে আসে। সম্প্রতি তাদের ত্রিপুরার বাসিন্দার মর্যাদা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন স্থানীয়রা।

ভারতের ত্রিপুরার উত্তরাঞ্চলে কাঞ্চনপুর মহকুমায় শনিবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। মিজোরাম থেকে আসা রিয়াংদের স্থায়ী বাসিন্দার মর্যাদা দেয়ার প্রতিবাদে আন্দোলনকারীরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করতে গেলে এই ঘটনা ঘটে।   

পাশের রাজ্য মিজোরামে জাতিগত দাঙ্গার কারণে ১৯৯৭ সালে প্রায় ৩৫ হাজার রিয়াং ত্রিপুরায় চলে আসে। ছয়টি শরণার্থী শিবিরে তাদের আশ্রয় দিয়েছিল ত্রিপুরা সরকার। ফেরত যাওয়া নিয়ে কোনো সমাধানে আসতে না পারায় সম্প্রতি তাদের ত্রিপুরার বাসিন্দার মর্যাদা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

স্থানীয়রা এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেন। ছয় দিন ধরে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে দুইশ কিলোমিটার দূরে কাঞ্চনপুরে ধর্মঘট চলছে। আন্দোলনকারীরা মহকুমা শাসকের কার্যালয়ও ঘেরাও করে রেখেছেন। 

শনিবার জাতীয় সড়ক অবরোধ করতে গেলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে শ্রীকান্ত দাস নামে এক আন্দোলনকারী প্রাণ হারান।

পুলিশ জানিয়েছে, বিশ্বজিত দেববর্মা নামে দমকলের এক কর্মীও নিহত হয়েছেন।  

পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকাটিতে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র সবিতা নাথ বলেন, ‘রিয়াং শরণার্থীদের জন্য স্থানীয় বাঙালিরা সমস্যায় পড়ছেন। কাঞ্চনপুরে তাদের রাখা চলবেনা।’

এ ঘটনার জন্য রাজ্যের বিজেপি সরকারকে দায়ী করেছে সিপিএম।

দলটির নেতা পবিত্র কর বলেন, ‘পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে হবে।’

কংগ্রেসের সাবেক রাজ্য সভাপতি গোপালচন্দ্র রায় বলেন, ‘রাজ্য সরকারের ব্যর্থতাতেই দুই ব্যক্তির প্রাণ গেল।’

অবিলম্বে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে পরিস্থিতির মোকাবিলা করার আহ্বান জানান তিনি।

তবে বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকার পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। রাজ্যে অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করছে বিরোধীরা।’

এ বিভাগের আরো খবর