যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে গরম খবর দিল ইরান। হেলিকপ্টার, ড্রোন, মিসাইল লঞ্চার বহন করা যায় এমন ভারী একটি রণতরী ভাসিয়েছে দেশটির আধাসামরিক বাহিনী বিল্পবী গার্ড।
রণতরীটির নামকরণ করা হয়েছে নিহত কমান্ডার আব্দুল্লাহ রৌদাকির নামে।
ছবিতে দেখা গেছে, রণতরীটিতে ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ট্রাক এবং বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে দ্রুত গতির চারটি বোট; ডেকে বসানো মেশিনগান।
আরব উপসাগরে নিয়মিত টহল দেবে রণতরীটি। এটির দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার বলে জানিয়েছে ইরানের বিল্পবী গার্ড। যুদ্ধজাহাজটির রানওয়ে নেই। তবে আছে হেলিকপ্টার অবতরণের প্যাড।
জাহাজটির অধিনায়ক করা হয়েছে বিপ্লবী গার্ডের অ্যাডমিরাল আলি রেজা তাংসিরিকে। তিনি জানান, জাহাজটি নিয়ে বাহিনী আরব উপসাগরের গভীর জলসীমায় টহল দিতে চায় তারা।
সাধারণত, বিল্পবী গার্ডের নৌসেনারা আরব উপসাগর অঞ্চল টহল দিয়ে থাকে। আর ইরানের নৌবাহিনী টহল দেয় ওমানের উপসাগর এবং এর বাইরের জলসীমা।
তাংসিরি বলেন, ‘ভারত মহাসাগরে উপস্থিতি ও কার্যক্রম চালানো আমাদের অধিকার।’
ইরানের এই রণতরীকে বাহরাইনভিত্তিক পঞ্চম নৌবহরের মাধ্যমে এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নৌ টহলের জবাব হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মধ্য প্রাচ্যের জলসীমায় নিয়মিতই যুদ্ধ বিমানবাহী রণতরী নিয়ে টহল দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই অঞ্চলে তৎপরতা বাড়াচ্ছে ইসরায়েলও।
দেশ দুটির কার্যক্রমকে হুমকি হিসেবে দেখছে ইরান।