বিশেষ প্রশাসনিক এলাকা হংকং নিয়ে পদক্ষেপের সমালোচনা করায় পাঁচটি দেশের ‘চোখ উপড়ে ফেলার’ হুমকি দিয়েছে চীন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এ হুমকি দেন বলে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
স্নায়ুযুদ্ধের সময় যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যাল্ড ও কানাডা একটি গোয়েন্দা জোট গঠন করে যা ফাইভ আইস অ্যালায়েন্স হিসেবে পরিচিত।
ফাইভ আইস অ্যালায়েন্স এক বিবৃতিতে চীনের সমালোচনা করায় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, ‘তাদের সতর্ক হতে হবে নয়তো তাদের চোখ উপড়ে ফেলা হবে।’
তিনি বলেন, ‘চীন কখনো সমস্যা সৃষ্টি করে না। কোনো কিছুকে কখনো ভয়ও পায় না।
‘তাদের চোখ পাঁচটি না কি ১০টি, তা বিবেচ্য বিষয় না। যদি তারা চীনের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন স্বার্থ ক্ষতি করার চেষ্টা করে, তাহলে তাদের চোখ উপড়ে ফেলে অন্ধ করে দেয়া হবে।’
১১ নভেম্বর চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটি একটি প্রস্তাব পাস করে।
ওই প্রস্তাবের সমালোচনা করে পাঁচটি দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বিবৃতিতে বলেন, ‘চীনের পাস করা প্রস্তাব যার পরিপ্রেক্ষিতে হংকং কর্তৃপক্ষ চার আইনপ্রণেতাকে অযোগ্য ঘোষণা করেছে, তা বিরোধী সব মতকে একেবারে চুপ করিয়ে দিতে মিলিত উদ্যোগ বলে মনে হচ্ছে।’
বিবৃতিতে অযোগ্য ঘোষিত আইনপ্রণেতাদের পুনর্বহালের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, হংকংয়ের স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন মেনে নেয়ার বিষয়ে চীনের অঙ্গীকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন ওই প্রস্তাব।
নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচনে হংকংবাসীর অধিকারকে চীন উপেক্ষা করছে বলেও অভিযোগ করে ফাইভ আইস অ্যালায়েন্স।
চীনের প্রস্তাবে বলা হয়, হংকংয়ের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিলে, চীনের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করলে, শহরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি বাহিনীর হস্তক্ষেপ চাইলে বা যেকোনোভাবে জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি সৃষ্টি হওয়ার মতো কাজ করলে হংকং সরকার আইনপ্রণেতাদের অযোগ্য ঘোষণা করবে।
প্রস্তাবটি পাসের কয়েক মিনিট পরই হংকং কর্তৃপক্ষ গণতন্ত্রপন্থি চার আইনপ্রণেতাকে অযোগ্য ঘোষণা করে। এর প্রতিবাদে ওই দিন রাতেই হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি ১৫ আইনপ্রণেতা পদত্যাগ করেন।