সিরিয়ায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় তিন সেনা নিহত ও এক জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত গোলান মালভূমিতে ‘বিস্ফোরক যন্ত্র পাওয়ার’ পরদিন সিরিয়ায় হামলা চালানো হয়। একে প্রতিশোধমূলক হামলা বলে উল্লেখ করেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।
ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোনাথান কনরিকাস জানান, সিরিয়া নিয়ন্ত্রিত গোলান মালভূমি থেকে দেশটির রাজধানী দামেস্ক পর্যন্ত আটটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা হয়।
দেশটির সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, রাতভর ইসরায়েলের জঙ্গিবিমান ‘ইরানের কুদস বাহিনী ও সিরিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে’ হামলা চালিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সিরিয়ার বিভিন্ন সংরক্ষণাগার, সামরিক দফতর ও স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। একই সঙ্গে সিরিয়ার ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রকেও লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, ‘ইসরায়েলের আগ্রাসনে’ তিন সেনা নিহত ও এক জন আহত হয়েছেন।
২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইরান, লেবাননের শিয়া মিলিশিয়া হিজবুল্লাহসহ সরকারি বাহিনীকে লক্ষ্য করে অসংখ্য বার বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল।
ওইসব লক্ষ্যবস্তুতে আগ বাড়িয়ে হামলা চালালে সাধারণত দায় স্বীকার করে না ইসরায়েল। তবে ‘নিজের অঞ্চলে আগ্রাসন হলে’ তার পাল্টা জবাবে হামলা চালালে দায় নেয় তারা।
মঙ্গলবার ইসরায়েলের দখল করা গোলান মালভূমির নিজের অংশে উন্নত বিস্ফোরক যন্ত্র (আইইডি) পাওয়া যায় বলে জানায় দেশটির সামরিক বাহিনী। এ ঘটনাকে ‘সিরিয়ায় ইরানের প্রতিরোধ ব্যবস্থার আরও স্পষ্ট প্রমাণ’ হিসেবে উল্লেখ করে ইসরায়েল।
ওই দিন ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত পরিদর্শনের সময় দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গানৎজ জানান, গোলানে বিস্ফোরক যন্ত্র স্থাপন মেনে নেবে না ইসরায়েল।
তিনি বলেন, ‘এটা অনেক বড় ঘটনা। এ বিষয়ে আমরা চুপ থাকতে পারি না।’
১৯৬৭ সালে আরবদের সঙ্গে যুদ্ধে সিরিয়ার কাছ থেকে অঞ্চলটি দখল করে ইসরায়েল।
গৃহযুদ্ধের শুরু থেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রধান মিত্র ইরান। এখন পর্যন্ত দেশটিতে গৃহযুদ্ধে তিন লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা, রয়টার্স