ফাইজার ও মডার্নার পর করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর আরও একটি টিকার খবর নিয়ে এসেছে চীনভিত্তিক ওষুধ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাক বায়োটেক।
প্রাথমিক পরীক্ষার তথ্য বিশ্লেষণ করে বুধবার তারা জানায়, তাদের উদ্ভাবিত টিকা ‘করোনাভ্যাক’ করোনার বিরুদ্ধে দ্রুত প্রতিরোধ তৈরি করতে পারে।
তবে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এই টিকা নেয়ার ফলে যে পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তা করোনা থেকে সেরে ওঠা রোগী থেকে কম।
অবশ্য টিকাটির টিকাটির গবেষকেরা জানান, মধ্য পর্যায়ের ট্রায়ালের এ ফলাফল দিয়ে ‘করোনাভ্যাক’ এর কার্যকারিতা মাপা যাবে না। অন্যান্য টিকা ও বানরের ওপর চালানো প্রিক্লিনিক্যাল গবেষণা থেকে তথ্যের ভিত্তিতে তাদের দাবি, করোনার বিরুদ্ধে তাদের টিকা পর্যাপ্ত প্রতিরোধ তৈরি করে।
করোনাভ্যাক ছাড়াও চীনে করোনারোধী আরও চারটি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ চলছে। টিকাগুলো কতটা কার্যকর তা যাছাইয়ে এখন শেষ ধাপের পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে।
সিনোভ্যাকের টিকাটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ফল ‘পিয়ার রিভিউ’ আকারে প্রকাশিত হয়েছে ল্যানসেটের জার্নালে। তাতে বলা হয়েছে, দুই ধাপের ট্রায়ালে চীনে সাতশোর বেশি স্বেচ্ছাসেবী অংশগ্রহণ করে।
দুই ধাপের ট্রায়াল প্রতিবেদনে টিকাটির কার্যকারিতা নিয়ে গবেষক জু ফেংচাই বলেন, ‘দিনের ব্যবধানে দুই ডোজ টিকা দেয়ার পর আমরা দেখেছি, করোনাভ্যাক দ্রুত অ্যান্টিবডি তৈরিতে সক্ষম। এই ফল অনুযায়ী, চলমান মহামারিতে জরুরি পরিস্থিতিতে টিকাটি ব্যবহার করা যাবে বলে আমাদের বিশ্বাস।’
সোমবার করোনা প্রতিরোধে আশাবাদী হওয়ার মতো খবর নিয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বায়োটেকনোলজি প্রতিষ্ঠান মডার্না। তাদের উদ্ভাবিত টিকা মানুষকে করোনামুক্ত রাখতে ৯৫ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করা হয়।
এর আগে গত সপ্তাহে ফাইজার ও বায়ো-এনটেক জানায়, তাদের উৎপাদিত টিকা করোনা থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত নিরাপদ রাখতে পারে।