ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা ছাড়ার আগেই যুদ্ধে বিধ্বস্ত আফগানিস্তান ও ইরাক থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
পেন্টাগন জানিয়েছে, ট্রাম্প হোয়াইট হাউজ ছাড়ার আগেই আফগানিস্তানে সেনা সংখ্যা সাড়ে চার হাজার থেকে আড়াই হাজারে নামিয়ে আনা হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, সৈন্যদের মাঝারি একটা সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে ইরাকেও। দেশটিতে সেনা সংখ্যা কমিয়ে তিন হাজার থেকে আড়াই হাজার করবে ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস মিলার জানান, আসছে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে আফগানিস্তান থেকে ২০০০ সেনা প্রত্যাহার করা হবে এবং ইরাক থেকে প্রত্যাহার করা হবে ৫০০ সেনা। উভয় দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা রাখা হবে ২ হাজার ৫০০ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এস্পারকে বরখাস্ত করার দিন কয়েক পরই এমন সিদ্ধান্ত জানাল ট্রাম্প প্রশাসন।
তালেবান যোদ্ধাদের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় থাকা আফগানিস্তান সরকারকে সহায়তার জন্য দেশটিতে সৈন্য না সরানোর ব্যাপারে মত দিয়েছিলেন এস্পার।
সমালোচকেরা বলছেন, আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির ভঙ্গুর নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও ঝুঁকিতে ফেলবে। ব্যাহত হতে পারে আফগানিস্তান সরকার ও তালিবান যোদ্ধাদের মধ্যকার চলমান শান্তি আলোচনা।
মিলার আফগানিস্তান ও ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা ঘোষণার পর পরই এর সমালোচনা করেছেন জ্যেষ্ঠ রিপাবলিকান সিনেটর মিশেল ম্যাককোনেল।
আগামী কয়েক মাসে আফগানিস্তান ও ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহারসহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র নীতিতে বড় পরিবর্তনের বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন তিনি।
ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটাল হিলে সাংবাদিকদের ম্যাককোনেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আফগানিস্তান বা ইরাক থেকে দ্রুত সেনা সরানোর বিষয়টি ভুল তবে।’ যদিও এ বিষয়ে সরাসরি ট্রাম্পের সমালোচনা করেননি তিনি।
অন্যদিকে, ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়েন বলেছেন, যুদ্ধের ময়দান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আমেরিকান জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতি পালন করছেন প্রেসিডেন্ট।
মিলারের ঘোষণার অল্প সময়ের মধ্যেই হোয়াইট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে রবার্ট বলেন, ‘এটা ট্রাম্পের প্রত্যাশা যে, মে মাসের মধ্যে তাদের (সেনাদের) সবাই নিরাপদ ও পুরোপুরিভাবে দেশে ফিরে আসবে।’