সরকারিভাবে ফ্রান্সের পণ্য বর্জনের দাবি সম্বলিত একটি সমঝোতায় স্বাক্ষর করেছেন পাকিস্তানের দুজন মন্ত্রী। এরপরে রাজধানী ইসলামাবাদে রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ থেকে সরে এসেছে তেহরিক-ই-লাবাইক পাকিস্তান (টিএলপি) নামের একটি ইসলামপন্থি দল।
মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
ফরাসি পত্রিকা শার্লি হেবদোতে হযরত মুহম্মদ (স) এর কার্টুন প্রকাশের প্রতিবাদে আনুষ্ঠানিকভাবে ফরাসি পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিতে পাকিস্তান সরকারকে চাপ দিয়ে আসছিল দলটি।
রোববার থেকে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের একটি প্রধান সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করছিল টিএলপি।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দলটির মুখপত্র এজাজ আশরাফি বলেন, ‘সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্রান্সের পণ্য বর্জন করতে যাচ্ছে এমন সমঝোতায় স্বাক্ষরের পর আমরা আন্দোলন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
গণমাধ্যমের কাছে আসা সমঝোতাপত্রে পাকিস্তানের ধর্মমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাক্ষর থাকার কথা বলা হয়েছে বিবিসির ওই প্রতিবেদনে।
সমঝোতাপত্রে লেখা হয়েছে, পাকিস্তানে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করা ব্যাপারে পার্লামেন্টে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তবে এ ব্যাপারে পাকিস্তান সরকারের কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
১৬ অক্টোবর মহানবী হজরত মোহাম্মদকে (সা.) নিয়ে আঁকা কার্টুন শিক্ষার্থীদের দেখানোয় প্যারিসের স্কুলশিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটির শিরশ্ছেদ করেন আবদুলাখ আনজোরভ নামের এক চেচেন বংশোদ্ভূত যুবক।
তার স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বলেন, ‘স্যামুয়েলকে হত্যা করা হয়েছে কারণ ইসলামপন্থিরা আমাদের ভবিষ্যৎ ছিনিয়ে নিতে চায়। কার্টুন আমরা কখনোই সরাব না।’
মাখোঁর ওই বক্তব্যের পরই বিভিন্ন মুসলিম দেশ ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের ডাক দেয়।