বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এক সপ্তাহও টিকলেন না পেরুর প্রেসিডেন্ট

  •    
  • ১৬ নভেম্বর, ২০২০ ১৫:০৩

শনিবার বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই জন নিহত হওয়ার পর ক্ষমতা থেকে সরে যান মেরিনো।

দায়িত্ব নেয়ার কয়েক দিনের মাথায় প্রবল গণবিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছেন পেরুর অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট মানুয়েল মেরিনো।

নতুন সরকার গঠনের এক সপ্তাহেরও কম সময়ে স্থানীয় সময় রোববার তিনি পদত্যাগ করেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

৯ নভেম্বর দেশটির মধ্যপন্থি জনপ্রিয় রাজনীতিক মার্তিন ভিসকাররাকে অভিশংসন করে পেরুর বিরোধী দল নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেস। প্রমাণ উপস্থাপন না করে তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ তোলা হয়।

পরদিন মধ্য-ডানপন্থি পপুলার অ্যাকশন পার্টির সদস্য ও কংগ্রেস প্রধান মেরিনো প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন।

রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও দুর্নীতিতে জর্জরিত পেরুতে ঘুষবিরোধী পদক্ষেপ নেন ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ভিসকাররা। এ নিয়ে দেশটির কংগ্রেসের সঙ্গে প্রায়ই তার বিরোধ হয়।

ভিসকাররাকে অভিশংসনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে পেরুর জনগণ। মেরিনোর পদত্যাগের দাবিতে রাজধানী লিমাসহ অন্য শহরে আন্দোলন শুরু করেন তারা।

বৃহস্পতিবার রাতের বিক্ষোভ দেশটির গত দুই দশকের ইতিহাসে অন্যতম বৃহত্তম ছিল। ওই সময় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে দাঙ্গা পুলিশ।

শনিবার বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই জন নিহত হওয়ার পর ক্ষমতা থেকে সরে যান মেরিনো।

রোববার পুলিশের নিষ্ঠুরতা ও সংকট নিরসনে মেরিনোর ব্যর্থতার প্রতিবাদে পেরুর নতুন মন্ত্রিসভার ১২ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। এর আগে মেরিনো সরকারের জ্যেষ্ঠ রাজনীতিকরা তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

মেরিনোকে স্থলাভিষিক্ত করার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে পেরুর কংগ্রেস। লেখক ও সাবেক মানবাধিকারকর্মী রোসিও সিলভা স্যানটিসটেবানের নেতৃত্বাধীন দলের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির কংগ্রেস।

এ বিভাগের আরো খবর