বিশ্বের বৃহত্তম মুক্তবাণিজ্য জোট গঠনের বিষয়ে একমত হয়েছেন চীনসহ ১৫টি দেশের নেতারা। এ জোটের মাধ্যমে বিশ্বের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ অর্থনৈতিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জোটটির মাধ্যমে দ্রুত করোনাভাইরাসের ধাক্কা সামাল দেয়ার আশা করছে এশিয়ার অনেক দেশ।
রোববার ১০ জাতির অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশন্সের (আসিয়ান) বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি) জোটের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় বলে জানায় আল জাজিরা।
অনলাইনে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরসিইপি দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীরা চুক্তির অনুলিপিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় দেশগুলোর নেতারা অর্থমন্ত্রীর পাশেই দাঁড়ানো ছিলেন। এরপর সবাই ভার্চুয়ালি ক্যামেরার সামনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
আসিয়ানের প্রধান হিসেবে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান আয়োজন করা ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী এনগুয়েন জুয়ান ফুক বলেন, ‘আরসিইপি দ্রুতই স্বাক্ষরকারী দেশগুলোতে অনুমোদন এবং কার্যকর করা হবে।’
আরসিইপিভুক্ত দেশগুলো কম শুল্কে নিজেদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করবে, শুল্কের হার সময়ের সঙ্গে আরও কমানোর ধারা অব্যাহত রাখবে।
ভিয়েতনামের তথ্য অনুযায়ী, আরসিইপিতে সই করা দেশগুলো বৈশ্বিক অর্থনীতির ৩০ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করবে। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৩০ শতাংশই রয়েছে এই ১৫টি দেশে। সেসব দেশে ভোক্তার সংখ্যা ২২০ কোটি।
শিল্প ও কৃষি পণ্যসামগ্রীর ওপর শুল্ক কমানো বা প্রত্যাহারে আরসিইপি সহায়ক হবে বলে মনে করেন ভিয়েতনামের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বহুপক্ষীয় বাণিজ্য নীতি বিভাগের প্রধান লুং হোয়াং থাই।
আসিয়ানের ১০ দেশ ছাড়া আরসিইপিতে স্বাক্ষর করা বাকি দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।
আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো হলো কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, ব্রুনাই, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনাম।
তবে এই তালিকায় নেই যুক্তরাষ্ট্রের নাম। আরসিইপি সংশ্লিষ্টরা জানান, ভারত চাইলে এই জোটে যোগ দিতে পারে।