পেরুর প্রেসিডেন্ট মার্তিন ভিজকাররাকে অভিশংসিত করেছে আইনসভা কংগ্রেস। এ ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার দেশটির চিকিৎসক ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, পেরুর রাজধানী লিমা ও অন্য শহরে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভে চাপ বাড়ছে নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ম্যানুয়েল মেরিনোর সরকার ও বিভক্ত কংগ্রেসের ওপর।
বৃহস্পতিবার রাতের বিক্ষোভ দেশটির গত দুই দশকের ইতিহাসে অন্যতম বৃহত্তম ছিল।
লিমায় হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে দাঙ্গা পুলিশ।
হোসে ভেগা নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘পুরো পেরু জ্বলছে; আমরা সবাই প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ।’
কয়েকজন বিক্ষোভকারীর হাতে করোনাভাইরাসের সঙ্গে মেরিনোকে তুলনা করা ব্যানার দেখা যায়। তাদের ভাষ্য, মেরিনো জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন না।
বিক্ষোভকারীদের এক জন বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে তারা বাজে আচরণ করছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে আমরা জড়ো হয়েছি। আমরা সবাই মর্মাহত। আমি সবাইকে বলছি, হার মানা যাবে না।’
দেশটির প্রগতিশীল মরাদো পার্টির আইনপ্রণেতা গিনো কস্তা বলেন, ‘কংগ্রেসের হাত থেকে পেরুর গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে আমরা স্বতঃস্ফূর্ত ও শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করছি।’
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও দুর্নীতিতে জর্জরিত পেরুতে ঘুষবিরোধী পদক্ষেপ নেন ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ভিজকাররা। এ নিয়ে দেশটির কংগ্রেসের সঙ্গে প্রায়ই তার বিরোধ হয়।
সোমবার দেশটির মধ্যপন্থি জনপ্রিয় রাজনীতিক ভিজকাররাকে বিচারের মাধ্যমে অভিশংসন করা হয়। প্রমাণ উপস্থাপন না করে তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ তোলা হয়।
মঙ্গলবার মধ্য-ডানপন্থি পপুলার অ্যাকশন পার্টির সদস্য ও কংগ্রেস প্রধান মেরিনো প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। ওই সময় নাগরিকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান তিনি।