বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পদত্যাগের আল্টিমেটাম নাকচ আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর

  •    
  • ১২ নভেম্বর, ২০২০ ১৬:২৭

ফ্রিডম স্কয়ারে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ‘নিকোল বিশ্বাসঘাতক, ‘নিকোল, তুমি যাও’ স্লোগান দেন। আজারবাইজানের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করায় নিকোলের নিন্দা জানিয়ে বুধবার মধ্যরাতের মধ্যে তাকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা।

আর্মেনিয়ায় বিক্ষোভকারীদের বেঁধে দেয়া সময়ে পদত্যাগের দাবি নাকচ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান।

ছয় সপ্তাহ ধরে চলা সংঘর্ষ নিরসনে মঙ্গলবার রাশিয়া, আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া যুদ্ধবিরতির চুক্তি করে। 

চুক্তি অনুযায়ী, সংঘাতের সময় শুশা শহরসহ দখলে নেয়া অন্যান্য অঞ্চল আজারবাইজানের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে। জাতিগত আর্মেনীয় বাহিনীকে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে অন্যান্য অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিতে হবে। নাগোরনো-কারাবাখে অবস্থান করবে রাশিয়ার শান্তিরক্ষী বাহিনী। 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, চুক্তির প্রতিবাদে সামরিক শাসন অগ্রাহ্য করে মঙ্গলবার থেকে হাজার হাজার আর্মেনীয় রাজধানী ইয়েরেভানে বিক্ষোভ করছেন। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে সরকারি ভবন ভাঙচুর করেন তারা।

পরদিন ইয়েরেভানের ফ্রিডম স্কয়ারে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ‘নিকোল বিশ্বাসঘাতক, ‘নিকোল, তুমি যাও’ স্লোগান দেন। আজারবাইজানের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করায় নিকোলের নিন্দা জানিয়ে বুধবার মধ্যরাতের মধ্যে তাকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন বিক্ষোভকারীরা। পরে জরুরি অধিবেশন ডেকে প্রধানমন্ত্রীকে পদচ্যুত করার দাবি নিয়ে পার্লামেন্ট ভবনের দিকে অগ্রসর হন তারা।

আর্মেনিয়ার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

বিক্ষোভকারীদের ভাষ্য, সম্পাদিত চুক্তি তাদের জন্য বিশ্বাসঘাতকতামূলক। চুক্তিতে সম্মত হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল নাগরিকদের পরামর্শ নেয়া।

এদিকে বুধবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, তিন দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি মানা হচ্ছে কি না, তা দেখতে ‘যৌথ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে’ যোগ দিতে তার দেশ রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেছে।

নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু জাতিগত আর্মেনীয়রা ওই অঞ্চলে সংখ্যাগরিষ্ঠ। ওই অঞ্চলে আর্মেনীয়দের আজারবাইজানের শাসনের বিরোধিতা করা নিয়ে কয়েক দশক ধরে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলছে।

সামরিক মিত্র আর্মেনিয়ায় রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে আজারবাইজানেরও রয়েছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। অন্যদিকে আজারবাইজানকে সমর্থন করে আসছে তুরস্ক।

এ বিভাগের আরো খবর