‘দেশবাসী বারবার বোঝাচ্ছেন যে, উন্নয়নই মূলমন্ত্র। উন্নয়ন করলেই সমর্থন মিলবে এটা প্রমাণিত। এনডিএ-র মূল লক্ষ্য হলো দেশের বিকাশ। যারা এটা বুঝতে পারছেন না, জায়গায় জায়গায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাচ্ছে।’
বিহার জয়ে দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে বুধবারের আনন্দ উৎসবে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
দীনদয়াল উপাধ্যায় মর্গে বিজেপি সদর প্রাঙ্গণে মোদি বলেন, ‘দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ। কাল সকাল থেকে মাঝরাত পর্যন্ত গোটা দেশের নজর ছিল টিভি, টুইটার, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে। ভোটে হার-জিত হয়। কিন্তু ভোটের প্রক্রিয়া সকলের কাছে জরুরি।’
এ সময় শান্তিপূর্ণ, সফলভাবে নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান মোদি।
মঙ্গলবার বিহারে সারাদিনের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর গভীর রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়। বিহারে চতুর্থবার সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন নীতিশ কুমারই।
চূড়ান্ত ফলে এনডিএ পেয়েছে ১২৫ আসন, মহাজোট পেয়েছে ১১০ আসন।
অন্যরা সাত আসনে জয়ী, এআইএমআইএম জয়ী পাঁচ আসনে।
চিরাগ পাসওয়ানের দল এলজেপি কোনোরকমে একটি আসনে জিতে মানরক্ষা করেছে।
২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় জেতার জন্য প্রয়োজন ছিল ১২২ আসন। তিনটি বেশি পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে এনডিএ।
বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা বলেন, ‘ভোটের ফলাফলে প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারত বানানোর চেষ্টায় বিহারের মানুষের পূর্ণ সমর্থন প্রতিফলিত হয়েছে। শুধু বিহারের নয়, এই জয় গোটা দেশের জয়।’
মোদি বলেন, ‘নয়া ভারতের উত্থান দেখছি। এমন এক ভারত, যা আত্মবিশ্বাসে ভরপুর, যে লক্ষ্যে অবিচল। বিশ্বের অনেক দেশ হিমশিম খেয়েছে করোনায়, সেখানে আমাদের দেশ নতুন নীতি নিয়েছে।’
কংগ্রেসের নাম উল্লেখ না করে খোঁচা দিয়ে মোদী বলেন, ‘পরিবারবাদী দলগুলো গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক। দেশের যুবকরা এ কথা জানেন। দেশের একটা বড় দল, যারা দেশকে অনেক বছর নেতৃত্ব দিয়েছে, তারাও পরিবারতন্ত্রের জালে আটকে গিয়েছে। বিহারের মানুষ তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছেন।’
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহসহ অন্য নেতারা এ সময় মঞ্চে ছিলেন ।