বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হংকংয়ের আইনপ্রণেতাদের গণপদত্যাগ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১১ নভেম্বর, ২০২০ ১৮:৫৫

উ চি ওয়াই বলেন, আমরা বিশ্বের সামনে আর বলতে পারি না যে এখনও ‘এক দেশ, দুই নীতি’ চালু আছে। চীনের প্রস্তাবে এর আনুষ্ঠানিক মৃত্যু ঘটেছে।’

চারজন আইনপ্রনেতাকে অযোগ্য ঘোষণা করে বরখাস্ত করার প্রতিবাদে হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি সব আইনপ্রণেতা আইনসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন।

বুধবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

১৫ জন আইনপ্রণেতার একটি দল সংবাদ সম্মেলন করে এই পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তারা জানান, হংকং সরকার তাদের চার সহকর্মী আলভিন ইয়ুং, ডেনিস কেওক, কওক কা-কি ও কেনেথ রিয়াংকে অযোগ্য ঘোষণার প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

চীনের পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব পাসের পরই হংকং সরকার ওই চারজন আইনপ্রণেতাকে অযোগ্য ঘোষণা করেছিল।

প্রস্তাবটিকে হংকংয়ের স্বাধীনতা খর্বের আরেকটি চেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে।

এতে বলা হয়, হংকংয়ের স্বাধীনতার পক্ষে থাকলে, চীনের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করলে, শহরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি বাহিনীর হস্তক্ষেপ চাইলে বা যেকোনোভাবে জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি সৃষ্টি হওয়ার মতো কাজ করলে হংকং সরকার আইনপ্রণেতাদের অযোগ্য ঘোষণা করবে। আদালতের অনুমোদন ছাড়াই হংকং সরকার সরাসরি আইনপ্রণেতাদের পদচ্যুত করতে পারবে বলেও প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়।

গনতন্ত্রপন্থিদের নেতা উ চি ওয়াই গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আমরা বিশ্বের সামনে আর বলতে পারি না যে এখনও ‘এক দেশ, দুই নীতি’ চালু আছে। চীনের প্রস্তাবে এর আনুষ্ঠানিক মৃত্যু ঘটেছে।’

হংকংয়ের নেতাদের চীনপন্থি কমিটি বাছাই করলেও আইনসভার অর্ধেক বা ৭০টি আসনে জনগণের ভোটে সরাসরি নির্বাচিত হন আইনপ্রণেতারা।

সাবেক ব্রিটিশ কলোনি হংকং ‘এক দেশ,দুই নীতি’ পদ্ধতিতে ২০৪৭ সাল পর্যন্ত চীনের আওতায় থাকার কথা। এতে সেখানকার বাসিন্দারা চীনের মূল ভূখণ্ডের বাসিন্দাদের চেয়ে কিছুটা বেশি স্বাধীনতা ভোগ করেন।  

এ বিভাগের আরো খবর