ইথিওপিয়ার টাইগ্রে অঞ্চলে সংঘর্ষের জেরে দেশটির ছয় হাজারেরও বেশি নাগরিক পালিয়ে সুদানে আশ্রয় নিয়েছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সুদানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সুনা এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও অনেকে সীমান্ত পার হয়ে সুদানে প্রবেশ করতে পারেন বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
শরণার্থী কমিশনের বরাতে সুনা জানায়, সামনে দুই লাখেরও বেশি শরণার্থী সুদানের আল-কাদারিফ রাজ্যে আশ্রয় নিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সীমান্ত থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থিত শরণার্থী শিবিরে মৌলিক সেবার অভাব রয়েছে। শিবিরটিকে শরণার্থীদের জন্য বসবাসযোগ্য করে গড়ে তোলা দরকার।
সুদানের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য কাসালার শরণার্থী কমিশনের কর্মকর্তা আলসির খালেদ রয়টার্সকে বলেন, ‘শরণার্থীদের সংখ্যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘সংঘাত চলতে থাকলে ইথিওপিয়া থেকে আরও অনেকে সুদানে ঢুকবে।’
ইথিওপিয়ার টাইগ্রে অঞ্চলে সংঘর্ষ ও বিমান হামলায় শত শত মানুষ নিহত হয়েছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও শান্তিতে নোবেলজয়ী আবি আহমেদ স্থানীয় নেতাদের ওপর সামরিক অভিযান চালালে সংঘর্ষ বাঁধে।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, সংঘর্ষ শুরুর জন্য ইথিওপিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার ও টাইগ্রের আঞ্চলিক সরকার পরস্পরকে দায়ী করছে। দুই পক্ষই একে অপরকে অবৈধ বিবেচনা করে।