মিয়ানমারে সেনা শাসনের অবসানের পর দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে জয় দাবি করেছে অং সান সু চির ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)।
রোববার দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন হয়েছে। সোমবার স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এনএলডি এগিয়ে রয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন এখনও ফল ঘোষণা করেনি।
সু চির দল এনএলডির মুখপাত্র মায়ো নুয়ান্তো রয়টার্সকে বলেছেন, বেসরকারি ফলে যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে ৩১৫টির বেশি আসন পেয়েছে তাদের দল।
তবে এনএলডি বেসরকারি হিসাবে কত আসন পেয়েছে তা জানাননি তিনি।
দলটি সোমবার দুপুরের দিকেই ৩২২টি আসন পাওয়ার দাবি করেছে।
এনএলডির মুখপাত্র বলেন, ‘জনগণের জন্য, দলের পক্ষে নির্বাচনি এমন ফল উৎসাহজনক।’
দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (ইউএসডিপি) মুখপাত্রের সঙ্গে রয়টার্স যোগাযোগ করলেও কোনো মন্তব্য পায়নি।
ভোট নিরপেক্ষ হয়েছে বলে পৃথক বিবৃতিতে বলেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ব্রিটেন। তবে রাখাইন রাজ্যে অন্তত ১০ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানদের ভোট থেকে বঞ্চিত করার সমালোচনাও করেছে তারা।
২০১৫ সালে পাঁচ দশকের সামরিক কর্তৃত্ববাদ শেষে মিয়ানমারে প্রথম নির্বাচন হয়। এতে শান্তিতে নোবেলজয়ী ও পশ্চিমাদের কাছে গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে পরিচিত সু চি ৩৯০টি আসনে জয়ী হন।
দেশে সু চির জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বজায় থাকলেও জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনী পরিচালিত গণহত্যার অভিযোগে দেশের বাইরে তার জনপ্রিয়তা অনেকখানি কমেছে।
সোমবার দেশটির নির্বাচন কমিশন ফল ঘোষণা করতে চেয়েছিল। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত হাতে লেখা মাত্র কয়েকটি আসনের ফল পাওয়া গেছে। অন্যদিকে দলটির প্রার্থী ও দলটি অনলাইনে ডেটা প্রকাশ করছে।
নির্বাচনে জিততে মিয়ানমার সংসদের নিম্নকক্ষে ৪২৫টি আসনের মধ্যে ৩১৫টি ও উচ্চকক্ষে ২১৭টি আসনের মধ্যে ১৬১টি আসনে জয়ী হতে হবে।
দেশটির নিম্নকক্ষের মোট আসন ৪৪০ ও উচ্চ কক্ষে রয়েছে ২২৪টি আসন। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ আসন সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত। বাকি আসনগুলোতে রোববার ভোট হয়েছে।