বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জয়ের পথে সু চির দল

  •    
  • ৯ নভেম্বর, ২০২০ ১৬:৩০

সোমবার ভোট গণনায় স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির দল এনএলডি ৩২২টি আসনে ভোট পায় বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়।

মিয়ানমারে নতুন সরকার গঠনে সংসদে প্রয়োজনীয় আসন নিশ্চিত করার কথা জানিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি)।

সোমবার ভোট গণনায় স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির দল এনএলডি ৩২২টি আসনে জয়ী হয়েছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়।

জাতিগত বিভক্তি ও করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার মধ্যেই রোববার দেশটিতে ভোট হয়।

এনএলডির মুখপাত্র মিয়ো নুয়ান্ত জানান, বেসরকারি ফলে এনএলডি ৩২২টি আসন জিতেছে।

নুয়ান্ত বলেন, ‘আমরা জনগণকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। নির্বাচনের এই ফল জনগণ ও দলের জন্য অনেক উৎসাহব্যঞ্জক।’

সেনাবাহিনী সমর্থিত মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (ইউএসডিপি) মুখপাত্র এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

মিয়ানমারের নির্বাচন কমিশন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা না করলেও সোমবার রাতের দিকে ফল ঘোষণা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নির্বাচনে জিততে মিয়ানমার সংসদের নিম্নকক্ষে ৪২৫টি আসনের মধ্যে ৩১৫টি ও উচ্চকক্ষে ২১৭টি আসনের মধ্যে ১৬১টি আসনে জয়ী হতে হয়।

২০১৫ সালে পাঁচ দশকের সামরিক কর্তৃত্ববাদ শেষে মিয়ানমারে প্রথম নির্বাচন হয়। এতে শান্তিতে নোবেলজয়ী ও পশ্চিমাদের কাছে গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে পরিচিত সু চি ৩৯০টি আসনে জয়ী হন।

দেশে সু চির জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বজায় থাকলেও জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনী পরিচালিত গণহত্যার অভিযোগে দেশের বাইরে তার জনপ্রিয়তা অনেকখানি কমেছে।

মিয়ানমারে এবার ভোটারের সংখ্যা তিন কোটি ৭০ লাখ। করোনার প্রাদুর্ভাব, অর্থনৈতিক দুর্দশা ও জাতিগত সংঘর্ষের কারণে গত নির্বাচনের মতো এবার এনএলডি বিপুল ভোটে জয়ী হবে বলে মনে হচ্ছে না।

বিদ্রোহের আশঙ্কায় ভোটাভুটি বন্ধ করায় এক লাখেরও বেশি ভোটার ভোট দিতে পারেননি।

রাখাইন রাজ্যে ক্যাম্প ও গ্রামে বন্দি হাজার হাজার রোহিঙ্গাও (যাদের বেশির ভাগেরই নাগরিকত্ব নেই) ভোট দেয়া থেকে বঞ্চিত হন।

২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গণহত্যা চালায়। ওই সময় প্রাণ বাঁচাতে প্রায় সাত লাখ ৪০ হাজার মানুষ প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়।

এ বিভাগের আরো খবর