যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পরপরই ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), মিসর, ওমান, জর্ডান, লেবানন ও ইরাক। ব্যতিক্রম ছিল মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ সৌদি আরব। তবে দেরিতে হলেও বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ রাষ্ট্রটি।
স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় বাইডেনকে অভিবাদন জানায় সৌদি।
এর আগে শনিবার প্রয়োজনীয় ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরাজয় নিশ্চিত করেন বাইডেন। তাকে অভিনন্দন জানাতে সৌদি আরবের ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগল।
বাইডেনকে তাৎক্ষণিক অভিনন্দন না জানালেও ২৮ অক্টোবর তানজানিয়ায় দ্বিতীয় মেয়াদে জয়ের পরপরই দেশটির প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলিকে উষ্ণ অভিবাদন জানিয়েছিলেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস)।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) প্রতিবেদনে জানানো হয়, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুলআজিজ আল সৌদ ও তার ছেলে এমবিএস নির্বাচনে জয়ের জন্য বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এসপিএর পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ‘বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশ ও তাদের জনগণের বিশেষ, ঐতিহাসিক ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রশংসা করেছেন সৌদি বাদশাহ। সবাই দুই দেশের বিদ্যমান সম্পর্ক আরও শক্তিশালী ও বিকশিত দেখতে চান।’
নির্বাচনি প্রচারে সৌদি আরবের সাংবাদিক জামাল খাশোগজির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরও জবাবদিহিতার দাবি জানিয়ে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্নির্মাণের অঙ্গীকার করেছিলেন বাইডেন। ওই সময় দেশটির প্রতি ইয়েমেনে হামলা বন্ধেরও আহ্বান জানান তিনি।
খাশোগজি হত্যা, ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরবের ভূমিকা ও নারী অ্যাক্টিভিস্টদের আটক নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মধ্যেও ট্রাম্প ও এমবিসের সম্পর্কে ভাটা পড়েনি।
ট্রাম্প নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর এসব বিষয় নিয়ে সৌদি আরব ও বাইডেনের মধ্যে বিরোধ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়।