বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাইডেনকে অভিনন্দন আমিরাত-মিসরের, চুপ সৌদি

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৮ নভেম্বর, ২০২০ ১৯:৪৭

সৌদি পত্রিকা ওকাজ লিখেছে, ‘বাইডেন জেতার পরে কী ঘটবে তার জন্য এখন অপেক্ষা করছে ও প্রস্তুতি নিচ্ছে এই অঞ্চল।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পর ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), মিসর, ওমান, জর্ডানসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। তবে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ট্রাম্প প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত সৌদি আরব।

আরব নিউজ ও বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দুটি প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

রোববার আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছে ইউএই, ওমান, জর্ডান, লেবানন, মিশর ও ইরাকের রাষ্ট্রপ্রধানরা।  

ইউএইর আবুধাবির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বাইডেন ও তার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে অভিনন্দন জানিয়ে এক টুইট বার্তায় লিখেন, ‘ইউএই ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবেই শক্তিশালী বন্ধুত্ব রয়েছে। আমরা আশা করছি এটি আরও জোরদার হবে।’

বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল সিসি। সিসির মুখপাত্র বাসাম রাদি এক বিবৃতিতে দুটি ‘বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের’ মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন।  

যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের আস্থা অর্জন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় জো বাইডেনের প্রতি অভিনন্দনপত্র পাঠিয়েছেন ওমানের সুলতান হাইথাম বিন তারিক আল সাইদ।

জর্ডান ও যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে প্রত্যাশা করে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাইডেনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ।

লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন আশা করছেন, বাইডেনের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির সম্পর্কে ভারসাম্য ফিরে আসবে।

ইরাকের প্রেসিডেন্ট বারহাম সালিহ শনিবার এক টুইটবার্তায় লিখেন, ‘বাইডেন ইরাকের পরীক্ষিত বন্ধু। তিনি উন্নত ইরাক গড়ে তোলার অংশীদার।’

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বাইডেন ভূমিকা রাখবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।  

তবে বাইডেনের জয়ে এখন পর্যন্ত সৌদি আরবের কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

রোববার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনে বাইডেনের কাছে পরাজিত রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ও প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস)। তার বিরুদ্ধে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগজি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

সালমানের নেতৃত্বে দেশটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ইয়েমেনে যুদ্ধের পেছনেও ট্রাম্প প্রশাসনের সমর্থন আছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। এমন অবস্থায় ট্রাম্পের পরাজয় সৌদি যুবরাজকে কিছুটা বেকায়দায় ফেলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে এর আগে সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছিলেন বাইডেন। খাশোগজি হত্যাকাণ্ডের অধিকতর স্বচ্ছ তদন্ত ও ইয়েমেনে যুদ্ধ বন্ধেরও দাবি জানিয়েছিলেন তিনি।

বাইডেনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির সম্পর্কে এক ধরনের অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত দিয়ে সৌদি পত্রিকা ওকাজ লিখেছে, ‘বাইডেন জেতার পরে কী ঘটবে তার জন্য এখন অপেক্ষা করছে ও প্রস্তুতি নিচ্ছে এই অঞ্চল।’

তবে একটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার সামর্থ্য আছে সৌদি প্রশাসনের।

এ বিভাগের আরো খবর