মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের ভোটাভুটি শেষ হয়েছে। ২০১১ সালে সামরিক শাসনের অবসানের পর দেশটিতে এটি দ্বিতীয় গণতান্ত্রিক নির্বাচন।
অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) এবারও নির্বাচনে জয়ী হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রোহিঙ্গা গণহত্যার ব্যাপারে চোখ বন্ধ রাখার নীতি অনুসরণের কারণে বিশ্বজুড়ে সমালোচিত হলেও শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী সু চি নিজ দেশে এখনও বিপুল জনপ্রিয়।
এবারও দেশের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ভোটাধিকার বঞ্চিত রেখে দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক পার্লামেন্টের এ ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হলো। মিয়ানমার সেনাবাহিনী গণহত্যা চালিয়ে ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিলেও এখনও বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার বসবাস রাখাইন রাজ্যের পশ্চিম অংশে।
করোনাভাইরাস মহামারি সত্ত্বেও বিপুল ভোটার উপস্থিতি দেখা যায় ভোর ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলা ভোটে।
সব মিলিয়ে ১ হাজার ১৭১ আসনের জন্য ৯২টি দলের ৬ হাজার ৯০০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সু চির এলএলডির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি দল হলো ইউনিয়ন সলিডারিটি ও ডেভেলপমেন্ট পার্টি।
মিয়ানমার গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন করলেও দেশ শাসনে সেনাবাহিনী এখনও আনুষ্ঠানিক প্রভাব বজায় রেখেছে। পার্লামেন্টের এক-তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষিত থাকে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য।