যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ২৭০টির বেশি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে জয় নিশ্চিত করেছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জো বাইডেন। তার এ জয়ে সারা বিশ্ব থেকে যখন অভিনন্দন আসছে, তখনও মামলা করায় ব্যস্ত ট্রাম্পের প্রচার দল। সর্বশেষ তারা মামলা করেছে অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে।
এদিকে ট্রাম্পের সহযোগী ও ঘনিষ্ঠদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, খুব দ্রুত হোয়াইট হাউজ ছাড়ার পরিকল্পনা নেই ট্রাম্পের।
নির্বাচনি প্রচারের মাঝামাঝি থেকে প্রমাণ ছাড়াই জালিয়াতির নানা অভিযোগ করে আসছেন ট্রাম্প। শনিবার নির্বাচনের ফল নিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের আশা এর মাধ্যমে বাইডেনের পক্ষে দেয়া ফল পরিবর্তন সম্ভব।
আইনি প্রক্রিয়া কীভাবে এগোবে তা নিয়ে বিরোধ থাকলেও ট্রাম্পের সহযোগী ও রিপাবলিকান পার্টির মিত্ররা অধিকাংশই এ সিদ্ধান্তের পক্ষে রয়েছেন বা চুপ থাকছেন।
শনিবার দুপুরে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘সহজ কথায়, এ নির্বাচন এখনই শেষ হচ্ছে না। জো বাইডেনকে কোনো অঙ্গরাজ্যে জয়ের চূড়ান্ত ফল দেয়া হয়নি। বাধ্যতামূলক পুনর্গণনা হতে যাওয়া তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অঙ্গরাজ্য বা আমার প্রচার দল বৈধ আইনি চ্যালেঞ্জ করেছে যেসব রাজ্য, তার মাধ্যমেই আসল জয়ী বের হয়ে আসবে।’
যদিও ট্রাম্পের সহযোগী ও উপদেষ্টারা গোপনে স্বীকার করেছেন, নির্বাচনের ফল উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ। তারপরও আইনি চ্যালেঞ্জগুলো সঠিকভাবে চলার ওপর জোর দেন তারা।
ট্রাম্পের এক উপদেষ্টা রয়টার্সকে বলেছেন, পুনর্গণনা ও যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, তার সমাধান নিশ্চিত করতে হবে। এরপরও যদিও কোনো পরিবর্তন না হয়, তবে ট্রাম্পের ফল মেনে নেয়াই উচিত।
ট্রাম্পের প্রচার দল ও রিপাবলিকানরা নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে অসংখ্য মামলা করেছেন।
সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, আইনি প্রক্রিয়া চালানোর জন্য রিপাবলিকানরা ছয় কোটি ডলারের তহবিল গঠনেরও চেষ্টা করছে।
সব মিলিয়ে ট্রাম্প হেরে গেলেও তা কীভাবে মানবেন, তা নিয়ে অনিশ্চিত সবাই। অন্যদের মতো নিশ্চিত হার মানার মানুষ যে ট্রাম্প নন, তা এরই মধ্যে প্রমাণ দিয়েছেন। তাই ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউজ থেকে সরানো যে কঠিন হবে, তা বলাই বাহুল্য।