এক সপ্তাহ আগেই কলকাতায় শুরু হয়ে গেল অকাল দীপাবলি। ঘরের মেয়ে কমলা হ্যারিসের জয়ে উচ্ছসিত কলকাতা। সামাজিক গণমাধ্যমে উপচে পড়ছে গর্বিত বাঙালির উচ্ছ্বাস।
ভারতীয় বংশোদ্ভুত কমলা হ্যারিস আমেরিকার নম্বর টু। জো বাইডেনের পরেই তিনি, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট। ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের মতো পশ্চিমবঙ্গের মানুষও খুশি।
ইতিমধ্যেই হ্যারিসের পূর্বপুরুষের ভিটেয় শুরু হয়েছে অকাল দিওয়ালি। তামিলনাডুর তিরুভারু জেলার থুলোসেন্দ্রাপুরম মেতে উঠেছে উৎসবের আনন্দে।
এই থুলোসেন্দ্রাসুরমের সঙ্গে হ্যারিসের বহু স্মৃতি। তার মা শ্যামলা গোপালন এই গ্রামেই তো থাকতেন এক সময়। এই গ্রামের মেয়ে এখন আমেরিকার ভাইস-প্রেসিডেন্ট। তাই উচ্ছ্বসিত এই গ্রামের বাসিন্দারা।
গোটা ভারতই আজ কমলার জয়ে গর্বিত। এই প্রথম কৃষাঙ্গ মহিলার আমেরিকা জয়, উচ্ছ্বসিত কলকাতার মিডিয়াও। ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয় বা জো বাইডেনের জয়কেও ছাপিয়ে গিয়েছে ভারতীয় নারীর সাফল্য।
লোকসভায় কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেতা অধীর চৌধুরি ইতিমধ্যে দাবি তুলেছেন, ‘কমলা হ্যারিসকে রাজকীয় সম্বর্ধনা দিতে হবে। এর জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করুক ভারত সরকার।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন হ্যারিসকে। টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘কমলা হ্যারিসের জয়ে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বন্ধুত্ব আরও শক্তিশালী হবে।’
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গৌতম দাশও ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিসের জয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
খুশি কলকাতার সাধারণ মানুষও। আমেরিকার মতো দেশে ভারতীয় বংশোদ্ভুত কমলা হ্যারিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে জয়লাভ গোটা দেশের পক্ষেই গর্বের বলে তারা মনে করেন।
গৃহবধূ সোনালী সাহা, চিকিৎসক প্রদীপ ভৌমিক, আইনজীবী রাখাল মজুমদার থেকে শুরু করে সমাজের সকল স্তরের মানুষ খুশি কমলার জয়ে।
কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে এবারের কালীপুজোয় আতশবাজি ফাটানো বা বিক্রি করা একদম নিষিদ্ধ। রাজ্য সরকারও বদ্ধপরিকর আতসবাজি বিক্রি বন্ধে।
কিন্তু কমলা হ্যারিসের জয়ের পর শহরের বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে পাওয়া গিয়েছে আতসবাজির শব্দ।
ইতিমধ্যেই সামাজিক গণমাধ্যম ছাপিয়ে বাঙালির উচ্ছাস কলকাতার দেয়ালেও উপচে পড়তে শুরু করেছে।
শীতের সন্ধ্যায় শহরের জটলায় এখন শুধুই কমলা। কমলা হ্যারিস। এখানে পিছিয়ে রয়েছেন বাইডেন। কলকাতার জটলায় এক নম্বরেই ঘরের মেয়ে।