ফ্রান্সে এক দিনে রেকর্ডসংখ্যক মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার দেশটিতে ৬০ হাজার ৪৮৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।
দেশটিতে বছরের শুরুতে প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর শুক্রবার সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হন। ওই দিন মৃত্যু হয়েছে ৮২৮ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ১৭ লাখ; মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার জনের।
করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ৩০ অক্টোবর থেকে মাসব্যাপী ফের লকডাউনের ঘোষণা দেন।
লোকজন এ সময় শুধু কর্মস্থলে যেতে, নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে, চিকিৎসা সহায়তা নিতে বা দিনে এক ঘণ্টার শরীর চর্চার জন্য ঘরের বাইরে বের হতে পারবেন।
লকডাউনের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রি করে না এমন সব দোকান, বার, রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকবে। তবে স্কুল ও ডে কেয়ার সেন্টার খোলা থাকবে।
সংক্রমণ রোধে নৈশ কারফিউও ঘোষণা করেন মাখোঁ। এই এক মাস রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৫৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তির এ সংখ্যাটা প্রায় তিন সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভিয়ার ভেরেন সবাইকে লকডাউনের নিয়ম মেনে চলার বিষয়ে সতর্ক করেন। এ মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের শয্যা পূর্ণ হয়ে যেতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
অলিভিয়ার বলেন, ‘আমরা যত কঠোর হব, লকডাউনের সময়সীমা তত কমবে। পরিস্থিতি খুব আশঙ্কাজনক। করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার আঘাত মারাত্মক।’