বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে পাঁচ বছর আগে করা প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৭ সালে চুক্তিটি থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এক দিন পরে বুধবার (৪ নভেম্বর) থেকে তা বাস্তবায়িত হলো।
বুধবার বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্ট চাইলে আবারও চুক্তিতে যোগ দিতে পারবে দেশটি। চলমান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী জো বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি নির্বাচিত হলে যত দ্রুত সম্ভব চুক্তিটিতে পুনরায় যোগ দেবেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয় এড়াতে ২০১৫ সালে ১৯৬টি দেশ প্যারিস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল, বিশ্বের গড় তাপমাত্রা আর ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বাড়তে না দেয়া।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা আর ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে বাংলাদেশ, মালদ্বীপসহ পৃথিবীর অনেক দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। মেরু অঞ্চলের বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে। এতে করে সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা বৃদ্ধি পাবে। পর্বতগুলোর বরফ গলে সুপেয় পানির অভাব দেখা দেবে। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে খরা আরও তীব্র হয়ে উঠবে।
এসব বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্যারিস চুক্তি করা হয়েছিল। যদিও চুক্তিতে বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য দায়ী গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানোর বিষয়টি ‘ঐচ্ছিক’ ছিল। এর একমাত্র বাধ্যতাবাধকতা ছিল, নিঃসরণ কমাতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো কী উদ্যোগ নিয়েছে তা প্রকাশ করা।
মোট বৈশ্বিক গ্রিন হাউজ গ্যাসের ১৫ শতাংশ নিঃসরণ করে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের পরে দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণকারী দেশ।