ভারতের রিপাবলিক টিভির প্রধান সম্পাদক অর্ণব গোস্বামীকে গ্রেফতার করেছে মহারাষ্ট্রের পুলিশ। আত্মহত্যায় প্ররোচনার পুরনো একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রিপাবলিক টিভি তাদের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তারা জানায়, বুধবার সকালে পুলিশের ১০ সদস্য আলোচিত-সমালোচিত সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীর মুম্বাইয়ের বাড়িতে ঢুকে তাকে গ্রেফতার করে।
ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআই জানায়, ৫৩ বছর বয়সী ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের আত্মহত্যার ঘটনার মামলায় অর্ণব গোস্বামীকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ও ৩৪ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, ২০১৮ সালে ইন্টেরিয়র ডিজাইনার অন্বয় নায়েক ও তার মা কুমুদ নায়েক আত্মহত্যা করেন। অন্বয়ের লেখা সুইসাইড নোটে লেখা ছিল, অর্ণব গোস্বামী ও আরও দুজন তাকে পাওনা ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা দেননি। সে কারণে তাকে ও তার মাকে মৃত্যুবরণ করতে হলো।
২০১৮ সালেই আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে মামলা করে আলিবাগ থানার পুলিশ। তবে ২০১৯ সালে রায়গড় পুলিশ মামলাটি বন্ধ করে দেয়।এরপর ২০২০ সালের মে মাসে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ ঘোষণা করেন, এ মামলা পুনর্তদন্ত করবে সিআইডি।
অন্বয় নায়েকের মেয়ে আদন্যা নায়েক তার কাছে অভিযোগ জানানোয় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। আলিবাগ পুলিশ এই মামলার তদন্তে গাফিলতি করেছে বলে অভিযোগ ছিল আদন্যার।
অর্ণব গোস্বামীর গ্রেফতারের এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীরা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, অর্ণব গোস্বামীকে গ্রেফতার সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভেড়কর এ ঘটনাকে গণমাধ্যমের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এটা জরুরি অবস্থার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।’
আইনমন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ বলেন, অর্ণব গোস্বামীর গ্রেফতার নিন্দনীয়, অযৌক্তিক ও দুশ্চিন্তার বিষয়।
বিজেপির নেতা জয় পান্ডা পুলিশের সমালোচনা করে বলেন, বিষয়টিকে অঘোষিত এক জরুরি অবস্থার মতো মনে হচ্ছে।
রিপাবলিক টিভি তাদের বিবৃতিতে অভিযোগ করেছে, অর্ণব গোস্বামীকে নিয়ে যাওয়ার সময় শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।