যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য ফ্লোরিডায় জয়ী হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে তিনি তিন শতাংশ পয়েন্টে জয়ী হন।
নির্বাচনি প্রচারের শেষ মুহূর্তে দুই প্রার্থীই প্রচার চালিয়েছেন ফ্লোরিডায়। ২৯টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট থাকা অঙ্গরাজ্যটিতে কে জয়ী হতে যাচ্ছেন, তা নিয়ে চলছিল নানা জল্পনা। ট্রাম্পের জয়ের মধ্য দিয়ে তার অবসান হলো।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এখন পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের মধ্যে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাইডেন পেয়েছেন ২০৯টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। অন্যদিকে ট্রাম্প পেয়েছেন ২১২টি ইলেকটোরাল কলেজ।
গণনা চলার সময় ডেলাওয়্যার অঙ্গরাজ্যে সমর্থকদের সামনে অল্প সময়ের জন্য এসে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন জো বাইডেন।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটি ভোট, প্রত্যেকটি ব্যালট গণনার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত কিছুই শেষ হয়ে যায়নি।’
বাইডেন আরও বলেন, ‘নির্বাচনে কে জয়ী হয়েছেন, তা আমি বা ট্রাম্প ঘোষণা করব না। আমেরিকার মানুষই এই সিদ্ধান্ত নেবেন।’
এদিকে এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প জানান, শিগগিরই বক্তব্য দেবেন তিনি।
এনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ থাকা টেক্সাসে ৯৪ শতাংশ ভোট গণনা হয়েছে। এর মধ্যে ট্রাম্প ৫২.২ শতাংশ ও বাইডেন ৪৬.৩ শতাংশ পেয়েছেন।
ফ্লোরিডায় ৯৬ শতাংশ ভোট গণনা হয়েছে। এর মধ্যে ট্রাম্প ৫১.২ শতাংশ পেয়েছেন। বাইডেন পান ৪৭.৮ শতাংশ।
১৮ ইলেকটোরাল কলেজ থাকা ওহাইয়োতে ট্রাম্প ৫৩.৩ শতাংশ ও বাইডেন ৪৫.২ শতাংশ ভোট পান। অঙ্গরাজ্যটির ৯০ শতাংশ ভোট গণনা হয়েছে।
আইওয়াতে ইলেকটোরাল কলেজ রয়েছে ছয়টি। সেখানে গণনা হওয়া ৯২ শতাংশ ভোটের মধ্যে ট্রাম্প ও বাইডেন পেয়েছেন ৫২.৬ ও ৪৫.৪ শতাংশ।
১০ ইলেকটোরাল কলেজের অঙ্গরাজ্য মিনেসোটায় গণনা হওয়া ৮৮ শতাংশের মধ্যে বাইডেন পেয়েছেন ৫৩.২ শতাংশ। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্প পান ৪৪.৭ শতাংশ।
এ ছাড়া অ্যারিজোনাতেও এগিয়ে বাইডেন। ১১ ইলেকটোরাল কলেজের অঙ্গরাজ্যে গণনা হয়েছে ৭৯ শতাংশ ভোট। সেখানে বাইডেন ৫২.৫ ও ট্রাম্প ৪৬.১ শতাংশ ভোট পান।