অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় সন্ত্রাসী হামলায় আক্রান্তদের সহায়তায় বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য প্রশংসায় ভাসছেন তুরস্কের বংশোদ্ভূত দুই ও ফিলিস্তিনি এক নাগরিক।
সোমবার হামলার সময় আহত এক পুলিশ কর্মকর্তা ও এক বৃদ্ধাকে সহায়তা করেন তারা।
বন্ধু মিকাইল ওজেনের সঙ্গে বৃদ্ধাকে সহায়তা করার সময় তুর্কি বংশোদ্ভূত রিসেপ গুলতেকিন পায়ে গুলিবিদ্ধ হন।
ফিলিস্তিনি নাগরিক ওসামা জোদা প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর আহত পুলিশ কর্মকর্তাকে নিরাপদ স্থানে সরাতেও সহায়তা করেন ওই দুই তুর্কি।
স্থানীয় সময় সোমবার ভিয়েনায় ইহুদিদের উপাসনালয় সিনাগগের সামনে বন্দুকধারীর গুলিতে চার জন নিহত হন। পরে হামলাকারীও পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এ ছাড়া আহত হন ২২ জন।
ঘটনাস্থলের পাশেই ম্যাকডোনাল্ডসের কর্মী ওসামা জোদা স্থানীয় সংবাদপত্র কুরিয়ারকে জানান, তিনি রেস্তোরাঁটির জন্য কিছু মালপত্র নিয়ে যাওয়ার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। দুই জন পুলিশ কর্মকর্তা কাছাকাছি যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ওপর গুলি চালায় হামলাকারী। এতে একজন পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হন।
তিনি বলেন, ‘আমি তাকে (পুলিশ কর্মকর্তা) কংক্রিটের একটি বেঞ্চের পেছনে নিয়ে যাই এবং রক্তপাত বন্ধের চেষ্টা করি।’
আরও পুলিশ আসার পর হামলাকারী পালিয়ে যায়। পরে ওজেন ও গুলতেকিনের সহায়তায় ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেন ওসামা।
মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষক ওজেন বলেন, আহত বৃদ্ধাকে একটি রেস্তোরাঁয় পৌঁছে দেয়ার পর তারা পুলিশ কর্মকর্তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানতাম আমাদের কী করতে হবে; সাহায্য করা ছাড়া আর কোনো কিছুই করার ছিল না।’
অস্ট্রিয়ার পুলিশ এ বিষয়ে বিস্তারিত না জানালেও দেশটির স্থানীয় একটি গণমাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যে অভিবাসীদের সহায়তার বিষয়টি ওঠে আসে।
এ ঘটনার পর অস্ট্রিয়ায় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ওজান চেহুন দূতাবাসে ডেকে নিয়ে ওজেন ও গুলতেকিনকে সংবর্ধনা দেন।