যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল ইরানের নীতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
মঙ্গলবার টেলিভিশনে দেয়া বক্তব্যে খামেনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে আমাদের নীতি স্পষ্টভাবে নির্ধারিত। ব্যক্তি বিশেষের কর্মকাণ্ডে তা পরিবর্তিত হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে কে আসবে বা কে যাবে, তা আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়।’
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭৯ সালে ইরানের রাজধানী তেহরানে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস দখলের বার্ষিকীতে খামেনি টেলিভিশনে বক্তব্য দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে ঢুকে টানা ৪৪৪ দিন ৫২ জন কর্মকর্তাদের বন্দি করে ইসলামপন্থি ছাত্ররা। ওই ঘটনা উল্লেখ করে খামেনি বলেন, ‘গুপ্তচরের ঘাঁটিতে ছাত্রদের হামলা যথাযথ ও বিবেচনাপ্রসূত ছিল।’
করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর ওই দিনটিকে ঘিরে সমাবেশ ও অন্যান্য কর্মসূচি বাতিল করেছে ইরান।
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের আগে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন বলেছিলেন, ইরান রাজি হলে ২০১৫ সালে ছয় পরাশক্তির সঙ্গে সম্পাদিত দেশটির পারমাণবিক চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র আবার যোগ দেবে।
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসেন।
সোমবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ সিবিএসকে জানান, যুক্তরাষ্ট্র ফের চুক্তিতে যোগ দিক, তা তিনি চান। কিন্তু যুক্ত হওয়ার অর্থ ফের আলোচনা নয়। আলোচনায় বসতে চাইলে চার বছর আগে ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেই ইরান বসতে পারত।
জারিফ বলেন, ‘বাইডেনের প্রচার দলের বক্তব্য অনেক বেশি আশাব্যঞ্জক। তবে আমরা বিষয়টি দেখছি।’