ইংল্যান্ডে দ্বিতীয় দফার জাতীয় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। করোনার সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় ব্রিটিশ প্রধামন্ত্রী বরিস জনসন ‘চিকিৎসা ও মানবিক বিপর্যয়ের’ আশঙ্কায় শনিবার লকাউনের এ ঘোষণা দেন।
৫ নভেম্বর থেকে এ লকডাউন শুরু হচ্ছে।
ডাউনিং স্ট্রিটে এক সংবাদ সম্মেলনে বরিস জনসন বলেন, ‘চলতি বছরের ক্রিসমাস অন্যরকম হতে যাচ্ছে। তবে এটা আমার আন্তরিক আশা এবং বিশ্বাস যে, লকডাউনের মতো কঠোর পদক্ষেপ ক্রিসমাসে পরিবারগুলোকে একত্র করবে।’
তিনি বলেন, লকডাউনের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর যে প্রভাব পড়বে, তার জন্য তিনি সত্যি সত্যিই দুঃখিত। তবে কোনো দায়িত্বশীল প্রধানমন্ত্রী সেসব পরিসংখ্যানকে উপেক্ষা করতে পারেন না, যেখানে কি না বলা হচ্ছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা একদিনে কয়েক হাজারে পৌঁছে যাবে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাব, রেস্তোরাঁ, জিম, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করে না এমন সব দোকান ৫ নভেম্বর থেকে চার সপ্তাহের জন্য বন্ধ থাকবে।
তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। ২ ডিসেম্বরের পর লকডাউন ধাপে ধাপে শিথিল করা হবে।
দ্বিতীয় দফার লকডাউনে ইংল্যান্ডের জনগণকে কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, সবাইকে বাড়িতে থাকতে হবে। কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া (যেমন: কর্মস্থল বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া) কেউ বাইরে যেতে পারবে না।
চিকিৎসা, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা এবং বিপন্ন মানুষকে সাহায্য করার প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বের হতে পারবে লোকজন।
বাড়ির ভেতরে ও বাগানে কারও সঙ্গে দেখা করা যাবে না। তবে বাড়ির বাইরে গিয়ে দেখা করতে পারবে।
আন্তর্জাতিক জরিপকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত ১০ লাখ ১১ হাজার ৬৬০ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৪৬ হাজার ৫৫৫ জন।
গত সপ্তাহে ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ডে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে।