পাকিস্তানে ফ্রান্সবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
ঈদে মিলাদুন্নবীর দিন শুক্রবার দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদে ফ্রান্স দূতাবাসের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, দূতাবাস থেকে আধ কিলোমিটার দূরে প্রায় তিন হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হয়। তারা ফরাসি পণ্য বয়কট ও মাখোঁর মন্তব্যের নিন্দা জানিয়ে স্লোগান দেন।
শিপিং কন্টেইনার ও কাঁটাতার দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করে দূতাবাসে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেয় রায়ট পুলিশ। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেডের ওপর দিয়ে সামনে এগোলে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।
এ সময় পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের একটি পোস্ট ভাঙচুর করে তারা। সেনেরা হোটেলের উল্টোদিকের একটি বনের গাছপালায় আগুনও ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
এর আগে সীমারেখা মেনে কর্মসূচি চালানোর বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমঝোতা হয় বিক্ষোভকারীদের। তবে তারা তা পরে মানেনি বলে অভিযোগ পুলিশের।
পুলিশ কর্মকর্তা আমানুল্লাহ নিয়াজি বলেন, ‘বিক্ষোভকারীরা সমঝোতা ভাঙায় আমাদের কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করতে হয়েছে।’
ফ্রান্সের পণ্য দোকান থেকে সরিয়ে ফেলা এমন একটি ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতৃত্বে জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলামসহ অন্য ধর্মীয় সংগঠন বিক্ষোভে অংশ নেন।
গত ১৬ অক্টোবর প্যারিসে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্লাসে মহানবী হজরত মোহাম্মদের (সা.) কার্টুন দেখানোর জেরে এক স্কুলশিক্ষকের শিরশ্ছেদ করেন এক যুবক।
পরে ফ্রান্সের সরকার ওই স্কুল শিক্ষককে দেশটির সর্বোচ্চ মরণোত্তর পদকে ভূষিত করে। বিভিন্ন ভবনের গায়ে সেই কার্টুন প্রদর্শনও শুরু করে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এই কার্টুন প্রদর্শনের ব্যবস্থার নির্দেশ দেন।
ইসলামপন্থিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানেরও অঙ্গীকার করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
মাখোঁর বক্তব্যের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যসহ মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে ফরাসি পণ্য বয়কটসহ ব্যাপক আকারে বিক্ষোভ চলছে।
বড় আকারের বিক্ষোভ হয়েছে বাংলাদেশেও।
সূত্র: ডন