চলতি বছরে বিশ্বের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়’ ধেয়ে আসার আগ মুহূর্তে হাজার হাজার বাসিন্দাকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ফিলিপাইন।
শনিবার দেশটির লুজন দ্বীপের দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দাদের এ নির্দেশ দেয়া হয়।
টাইফুন গনি নামের ঘূর্ণিঝড়টি রোববার ফিলিপাইনে আঘাত হানার কথা। এর গতিবেগ ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার, যা বেড়ে ২৬৫ পর্যন্ত যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে ২০১৩ সালে ফিলিপাইনে ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার বেগের টাইফুন হাইয়ান আঘাত হানে। এর আঘাতে ছয় হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়, নিখোঁজ হয় এক হাজার ৭৭১ জন।
স্থানীয় দুর্যোগ কর্মকর্তা গ্রেমিল নাজ জানান, ফিলিপাইনের ক্যামেরিন্স নোর্তে ও ক্যামেরিন্স সুর প্রদেশের উপকূলীয় ও ভূমিধস-প্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের সরানো শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দাদের ঘর ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে আলবে প্রাদেশিক সরকার।
কুইজন প্রদেশের ইনফান্টা শহরের মেয়র ফিলিপিনো গ্রেস আমেরিকা বলেন, ‘সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এরই মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী, ভারী যন্ত্রপাতি ও পিপিই পাঠানো হয়েছে। তবে করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে বিপর্যয় মোকাবিলায় আমাদের তহবিল পর্যাপ্ত নয়।’
প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার বেগে পশ্চিম দিকে সরছে গনি। ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলা ও আশপাশের ১৪ টি প্রদেশে শনিবার বিকেলে গনির প্রভাবে ভারী বৃষ্টি হবে। এ ছাড়া বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত সপ্তাহে ফিলিপাইনে টাইফুন মোলাভের আঘাতে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স