তুরস্কের এজিয়ান সাগরের তীরবর্তী অঞ্চলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেলে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কম্পন অনুভূত হয় গ্রিসের রাজধানী এথেন্স পর্যন্ত।
ইজমিরের সমুদ্রতীর থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে এজিয়ান সাগরের ১৬ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল বলে জানিয়েছে দেশটির দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
এর প্রভাবে উপকূলীয় কয়েকটি শহরের রাস্তায় সমুদ্রের পানি ঢুকে পড়ে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ একে ‘মিনি সুনামি’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
তুরস্ক সরকার জানিয়েছে, ইজমির শহরে অন্তত ২০টি ভবন ধসে পড়েছে। ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ জনের প্রাণহানি ও প্রায় ৪০০ জনের আহত হওয়ার খবর জানিয়েছে দেশটির দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
ভূমিকম্পের আঘাতে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে গ্রিসেও।
দেশটির সামোস দ্বীপে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে দুজন কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে সিভিল প্রটেকশন মিনিস্ট্রি। দ্বীপের কয়েকটি পুরনো ভবন ভেঙে পড়ার কথাও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ভূমিকম্পের পরে এক টুইট বার্তায় জনগণের পাশে থাকার কথা জানান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
দুই দেশের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে সমবেদনা জানাতে এরদোয়ানকে ফোন করেছিলেন বলে জানিয়েছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিস। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমাদের পার্থক্য যাই হোক না কেন, এই সময়ে দুই দেশের জনগণকে এক সঙ্গে দাঁড়াতে হবে।’
এ বছরের জানুয়ারি মাসে দেশটির সিভরিস প্রদেশে এক ভূমিকম্পে অন্তত ৩০ জন মারা যান।
১৯৯৯ সালের এক ভূমিকম্পে ইজমির শহরের প্রায় ১৭ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়।
ফল্ট লাইনে অবস্থিত হওয়ায় তুরস্ক ও গ্রিসে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়।
সূত্র: বিবিসি ও সিএনএন