মধ্য ভিয়েতনামে টাইফুন মোলাভের আঘাত ও ভারী বর্ষণে ভূমি ধসে অন্তত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন ৫৯ জন।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
টাইফুনের আঘাতে অন্তত ৫৬ হাজার ঘরবাড়ির ছাদ উড়ে গেছে। উপড়ে পড়েছে শত শত গাছ। তার ছিড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ১৭ লাখ মানুষ।
গত ২০ বছরে দেশটি সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হলো।
দুটি স্থানে ভূমি ধসে অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ কুয়াং নামের প্রদেশের ত্রা ভান গ্রামে ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সেখানে সেনাবাহিনী উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
তবে ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার কারণে অনেক এলাকায় উদ্ধার অভিযান চালানো যাচ্ছে না।
ফোক লোক জেলার ত্রা লেং গ্রামে ভূমি ধসে ১১ জন চাপা পড়েন। এর মধ্যে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টাইফুনের আঘাতে সাগরে দুটি মাছধরার ট্রলার ডুবে যায়। এতে ২৬ জেলে নিখোঁজ হন। তাদের মধ্যে ১২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার থেকে প্রবল বাতাস বইতে থাকে দেশটিতে। টাইফুনের হাত থেকে সুরক্ষা দিতে প্রায় চার লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হয়। তা ছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত শত শত বিমান উড্ডয়ন বাতিল করা হয়। স্কুল বন্ধ ও সৈকতে যাওয়া-আসা নিষিদ্ধ করা হয়।
শেষমেশ টাইফুনটি দেশটির দক্ষিণে ডানাং এলাকায় আছড়ে পড়ে। তখন সেখানে বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, তাৎক্ষণিকভাবে দুই জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে কুইয়াং নাই প্রদেশে। টাইফুনের হাত থেকে তারা নিজেদের ঘর রক্ষার চেষ্টা করছিলেন। পরে আরও দুই জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া যায়।
ভিয়েতনাম রেড ক্রস সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ন্যুইয়েন থি সুয়ান থুই বলেন, টাইফুনের প্রভাবে ভারী বর্ষণের কারণে অনেক এলাকায় বন্যা হয়েছে। লাখো মানুষ ত্রাণের অপেক্ষায় আছে।
সূত্র: এপি ও আলজাজিরা