যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, দক্ষিণ চীন সাগরে ইন্দোনেশিয়াকে সহযোগিতার নতুন পথ বের করবে তার দেশ।
বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে কৌশলগত ও অর্থনৈতিক মিত্রতা বাড়াতে এশিয়ার পাঁচটি দেশ সফর করছেন পম্পেও। ইন্দোনেশিয়ার আগে ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ সফরে যান তিনি। এরপর ভিয়েতনামে যাওয়ার কথা রয়েছে তার।
জাকার্তায় ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন পম্পেও। সেখানে ইন্দোনেশিয়ার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘নাতুনা দ্বীপের কাছে যে এলাকা চীন নিজের অংশ বলে দাবি করে, সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে তা চীনকে না দিয়ে জাকার্তা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
চীনের দাবি ‘অবৈধ’ বলেও মন্তব্য করেন পম্পেও।
নাইন-ড্যাশ লাইনের (১৯৪০ সালের মানচিত্রের অস্পষ্ট বর্ণনা) অধীনে দক্ষিণ চীন সাগরের ওই এলাকা নিজের বলে দাবি করে আসছে চীন।
নেদারল্যান্ডসের হেগে ২০১৬ সালে এক শুনানিতে চীনের ওই দাবি অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পম্পেও বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র উপকূলে নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে দুই দেশকে একসঙ্গে কাজ করার নতুন পথ বের করতে হবে।’
রেতনো জানান, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ‘স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ’ দক্ষিণ চীন সাগর দেখতে চান তিনি।
রেতনো এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত মিত্র। গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সহনশীলতা ও বৈচিত্র্য, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাসহ অন্য অনেক বিষয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও কল্যাণের ওপর ভিত্তি করে মিত্রতা গড়ে ওঠে।’
উত্তর নাতুনা সাগরে ঢুকতে চাওয়া চীনের কোস্ট গার্ড ও মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে বারবার ফেরত পাঠিয়েছে ইন্দোনেশিয়া।
রেতনো জানান, অঞ্চলটিতে সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়, প্রশিক্ষণ ও অনুশীলন, গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান এবং উপকূলবর্তী নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বেগবান করা হবে।
সূত্র: আল জাজিরা