পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য মন্দির নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে দেশটির কাউন্সিল অব ইসলামিক আইডিওলজি।
ধর্মীয় বিষয়ে পাকিস্তান সরকারকে পরামর্শ দেয়া রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এ আলেম পরিষদ বুধবার এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
পরিষদ জানিয়েছে, ইসলামি আইন সংখ্যালঘুদের উপাসনার জন্য নির্দিষ্ট স্থানের অনুমতি দেয়। এ কারণে ইসলামাবাদে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপাসনার জন্য মন্দির নির্মাণ করা যাবে।
চলতি বছরের জুনে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকার ইসলামাবাদে মন্দির নির্মাণের কাজ হঠাৎ বন্ধ করে দেয়ার পর এ সিদ্ধান্ত জানাল আলেমদের পরিষদ।
মন্দির নির্মাণকে ‘নিন্দনীয়’ আখ্যায়িত করে কাজ বন্ধ করতে দেশটির কট্টরপন্থি মুসলমানরা হুমকি দিয়েছিল। সে কারণে তখন নির্মাণকাজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তান সরকার।
পাকিস্তানের প্রখ্যাত হিন্দু নেতা ও সংসদ সদস্য লাল মাহি কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। একই সঙ্গে তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, কাউন্সিল ব্যক্তিগত উপাসনালয় নির্মাণে সরাসরি সরকারি তহবিল ব্যয় না করারও পরামর্শ দিয়েছে।
মন্দিরটি নির্মাণে ইমরান খান ছয় লাখ ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। পরে মন্দির নির্মাণে জনগণের অর্থ ব্যবহার করা যাবে কি না, তা জানতে কাউন্সিলের শরণাপন্ন হন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
মন্দির নির্মাণে সরাসরি ব্যয় না করার পরামর্শ দিলেও কাউন্সিল উপযুক্ত স্থানে ব্যবহারের জন্য ওই অর্থ হিন্দু সম্প্রদায়কে দেয়ার রাস্তা খোলা রেখেছে। তবে এ রায় সামনে রেখে ইমরান খান তহবিল সরবরাহ করবেন কি না, বুধবার তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
সংখ্যালঘুদের সমান অধিকার নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ইমরান। ধারণা করা হচ্ছে, মন্দিরটি নির্মাণে এখন আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করবেন তিনি।
বর্তমানে ইসলামাবাদে হিন্দুদের কোনও মন্দির নেই। ১০ লাখের বেশি জনসংখ্যার শহরটিতে প্রায় তিন হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বী বাস করেন।
২০১৮ সালে পাকিস্তান হিন্দু পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে প্রায় ৮০ লাখ হিন্দু ধর্মাবলম্বী বসবাস করেন।