করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কা ঠেকাতে নতুন বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে ইতালিজুড়ে বিক্ষোভে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার তুরিনসহ দেশটির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি শহরে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশকে লক্ষ করে পেট্রোল বোমা ছোড়ে বিক্ষোভকারীরা।
মিলান শহরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। নেপলস শহরেও সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
রোববার করোনা নিয়ন্ত্রণে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রেস্তোরাঁ, বার, জিম ও সিনেমা হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ইতালি সরকার। ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত এই কড়াকড়ি বলবৎ থাকবে।
ওই ঘোষণার পরই দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়।
বিধিনিষেধের আওতায় লমবারদি, পিয়েদমন্তসহ অনেক অঞ্চলে নৈশ কারফিউয়ের ঘোষণা করা হয়।
রোম, জেনোয়া, পালেরমো, ত্রিয়েস্তেসহ ডজনখানেক শহরে কড়া বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে বিক্ষোভকারীরা। তুরিনে বিক্ষোভকারীরা গুচ্চিসহ বেশ কিছু বিলাশবহুল দোকান ভাঙচুর করে।
চলতি বছরের শুরুতে ব্যাপক হারে করোনা সংক্রমণের মুখে পড়ে ইতালি। পরিস্থিতি সামলাতে কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করে দেশটির সরকার। শান্তিপূর্ণভাবে ওই সময় ইতালির জনগণ বিধিনিষেধ মেনে চলে।
কিন্তু বছরের শেষে সংক্রমণ আবার বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে আরোপ করা নতুন বিধিনিষেধ মানতে রাজি হচ্ছে না ইতালিবাসী।
দেশটির ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, প্রথম লকডাউনের ফলে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতি তারা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এর মধ্যে নতুন বিধিনিষেধ তাদের দেউলিয়া করে দেবে।
সূত্র: বিবিসি