বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ক্যাপসুল ও সিরিঞ্জ দিয়ে অভিনব প্রতিমা

  • তরুণ চক্রবর্তী, কলকাতা   
  • ২৬ অক্টোবর, ২০২০ ১৪:২৫

‘ওষুধের বর্জ্য যেখানে সেখানে ফেলা হলে পরিবেশের ওপর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করাই ছিল আমার লক্ষ্য।’

আজ বিজয়া দশমী। আজ দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের দিন। কিন্তু আজ কেন, কোনোদিনই পানিতে ভাসানো হবে না শিল্পী সঞ্জীব বসাকের তৈরি দুর্গা প্রতিমা। কেননা এই প্রতিমা মাটি দিয়ে নয়, তৈরি হয়েছে ক্যাপসুল ও সিরিঞ্জ দিয়ে।

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে অভিনব অভিনব এই দুর্গা প্রতিমা বানিয়েছেন অসমের ধুবড়ি জেলার শিল্পী সঞ্জীব বসাক। 

সঞ্জীব ধুবড়ি জেলার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করেন। করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন ওষুধের দোকানে ঘুরতে হয়েছে তাঁকে। সেসময়ই তিনি দেখেন, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ ফেলে দেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকেই তাঁর এই অভিনব দুর্গা প্রতিমা তৈরির ভাবনা।

নিউজবাংলাকে সঞ্জীব বলেন, ‘চারদিকে করোনা আতঙ্ক। ট্যাবলেট, ইঞ্জেকশন এখন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। বাড়ছে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বা ইঞ্জেকজনের জঞ্জালও। ওষুধের বর্জ্য যেখানে সেখানে ফেলা হলে পরিবেশের ওপর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করাই ছিল আমার লক্ষ্য।’

এর আগে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের বর্জ্য ও ফেলে দেওয়া অ্যালুমিনিয়ামের তার দিয়েও প্রতিমা বানিয়ে জনগণকে সচেতন করার কাজ করেছেন তিনি। বানিয়েছেন দেশলাইয়ের কাঠি দিয়েও প্রতিমা।

করোনাকালে সঞ্জীবের এই সচেতনতামূলক প্রতিমা প্রশংসিত হয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমে। ভিড়ও হয়েছে প্রতিমা দর্শনে প্রতিদিনই। ফলে খুশি সঞ্জীব। জনগণকে সচেতন করার কাজে লেগেছে তাঁর উদ্যোগ।

সঞ্জীব জানান, এর আগেও তাঁর শিল্পকর্ম ভূয়সী প্রশংসিত হয়েছে। মিলেছে রাজ্য ও জাতীয় স্তরের একাধিক সম্মাননা ও স্বীকৃতি। ভবিষ্যতে এ ধরনের সচেতনতামূলক শিল্পচর্চা চালিয়ে যাবেন তিনি।

 

এ বিভাগের আরো খবর