যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ১০ দিন। এ সময়টা কাজে লাগাতে জোরেশোরে নির্বাচনি প্রচারে নেমেছেন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প এবং সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন।
শনিবার ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের পাম বিচ কাউন্টি পাবলিক লাইব্রেরি কেন্দ্রে আগাম ভোট দেন ট্রাম্প। পরে নর্থ ক্যারোলিনা, ওহাইও ও উইসকনসিনে নির্বাচনি সমাবেশে যোগ দেন তিনি।
এদিকে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী পেনসিলভানিয়ায় জন্ম নেয়া বাইডেন ওই দিন অঙ্গরাজ্যটিতে দুটি মোটর সমাবেশ করেছেন।
করোনাভাইরাস মহামারিতে রেকর্ডসংখ্যক পাঁচ কোটি ৭০ লাখ ভোটার এরই মধ্যে আগাম ভোট দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনার সংক্রমণ শুরু হয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচনি যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত পশ্চিমের অঙ্গরাজ্যে এর প্রাদুর্ভাব বেশি। এর মধ্যেই ব্যাপক জনসমাগম করে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প।
নর্থ ক্যারোলিনার লাম্বারটনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, করোনাকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছে।
শীতকালে পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে বলে বাইডেন যে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, তা নিয়ে উপহাস করেন তিনি।
অন্যদিকে পেনসিলভানিয়ার ব্রিস্টলে এক মোটর সমাবেশে সমর্থকদের উদ্দেশে বাইডেন বলেন, ‘আমরা সুপারস্প্রেডার (ব্যাপক হারে করোনা ছড়ানো ব্যক্তি) হতে চাই না।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মিশিগান, উইসকনসিন, পেনসিলভানিয়া, ফ্লোরিডা, ওহাইও ও নর্থ ক্যারেলিনাকে সবচেয়ে প্রভাবশালী অঙ্গরাজ্য হিসেবে দেখা হয়। ঐতিহাসিকভাবে ওই অঙ্গরাজ্যগুলো কখনো ডেমোক্র্যাট, কখনো রিপাবলিকান প্রার্থীকে বেছে নেয়।
এ ছাড়া অঙ্গরাজ্যগুলোতে ইলেকটোরাল কলেজের সংখ্যা অনেক বেশি। এ কারণে এগুলো নির্বাচনের ফলে বড় ভূমিকা রাখে।
আগামী কয়েক দিন দোদুল্যমান ওইসব অঙ্গরাজ্যের বেশ কয়েকটিতে প্রচার চালাবেন ট্রাম্প। ফ্লোরিডা, নর্থ ক্যারোলিনা, ওহাইও ও উইসকনসিনের পর রোববার নিউ হ্যাম্পশায়ারে যাবেন তিনি।
সোমবার পেনসিলভানিয়ায় দুটি সমাবেশে যোগ দেয়ার কথা ট্রাম্পের। পরের দিন মিশিগান, উইসকনসিন ও নেব্রাস্কায় যাবেন তিনি।
সূত্র: বিবিসি