সুদান ও ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দুই সপ্তাহেরও কম সময় আগে স্থানীয় সময় শুক্রবার হোয়াইট হাউজে তিনি এ ঘোষণা দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা জানান, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদক ও অন্তর্বর্তী কাউন্সিলের প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের সঙ্গে ফোনালাপ করেন ট্রাম্প।
তিন দেশের যৌথ এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সুদান ও ইসরায়েল একমত হয়েছে। চলমান যুদ্ধাবস্থা বন্ধেও রাজি হয়েছে দেশ দুটি।’
ভবিষ্যতে সৌদি আরব, ফিলিস্তিনসহ অন্য দেশও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করবে বলে আশা ট্রাম্পের।
তিনি বলেন, ‘সুদান তৃতীয় দেশ যার সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক আমরা স্বাভাবিক করেছি। আমাদের মধ্যস্থতায় সামনে আরও অনেক দেশ একই কাজ করবে।’
গত দুই মাসে আরব দেশগুলোর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের পর ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকে সম্মত হলো সুদান।
অবশ্য সুদানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওমর গামারেলদিন শুক্রবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেন, ‘আইন পরিষদের মাধ্যমে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান গঠন শেষ হওয়ার পর ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
গত বছর প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সামরিক ও বেসামরিক রাজনীতিকরা যৌথভাবে সুদানের শাসন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
এদিকে ইসরায়েলের সঙ্গে সুদানের সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার উদ্যোগকে ‘পিঠে ছুরি বসানোর মতো’ মনে করছেন অনেক ফিলিস্তিনি।
ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) নেতা ওয়াসেল আবু ইউসুফ বলেন, ‘সুদানের এই সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনের পিঠে নতুন করে ছুরি বসানোর শামিল; ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতামূলক।’
সূত্র: আল জাজিরা