ফ্রান্সে করোনাভাইরাস ‘অন্তত আগামী গ্রীষ্ম’ পর্যন্ত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।
স্থানীয় সময় শুক্রবার প্যারিসের এক হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় তিনি এ কথা বলেন।
মাখোঁ বলেন, বিজ্ঞানীরা তাকে জানিয়েছেন, অন্তত আগামী গ্রীষ্ম পর্যন্ত করোনা থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।
তিনি বলেন, আগামী বছরের মাঝ পর্যন্ত করোনার বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখবে ফ্রান্স।
তবে ফ্রান্স নতুন করে পুরোপুরি বা আংশিক লকডাউনে যাবে কি না, তা বলার সময় এখনো আসেনি বলে জানান প্রেসিডেন্ট।
এর আগে ১৭ অক্টোবর চার সপ্তাহের জন্য রাজধানী প্যারিসসহ নয়টি শহরে রাত নয়টা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত কারফিউ ঘোষণা করা হয়।
তবে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় শুক্রবার রাত থেকে তা বাড়িয়ে ছয় সপ্তাহ করা হয়। দেশটির দুই-তৃতীয়াংশ শহরে এ কারফিউ জারি থাকবে বলে জানানো হয়।
মাখোঁ জানান, নতুন করে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা তিন থেকে পাঁচ হাজারে নেমে এলে কারফিউ শিথিল করা হতে পারে।
এদিকে এপি-এইচপি হাসপাতাল গ্রুপের প্রধান মার্টিন হার্শ সতর্ক করে বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে অনেকে ধারণা করেছিলেন, করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা থাকবে না বা থাকলেও তা অল্প হবে। কিন্তু পরিস্থিতি এখন বিপরীত। দ্বিতীয় ধাক্কায় সংক্রমণ প্রথমের চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে।’
হার্শ বলেন, হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) সম্প্রতি ভর্তি হওয়া রোগীদের বেশিরভাগই বৃদ্ধ। তারা স্বেচ্ছায় আইসোলেশনে ছিলেন। কিন্তু সন্তানরা দেখা করায় তাদের মাধ্যমে ওই বৃদ্ধরা সংক্রমিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘রাস্তাঘাটে চলাফেরা করা আক্রান্ত অনেকে জানেনই না, তাদের করোনা হয়েছে।’
ফ্রান্সের পাঁচ হাজার আইসিইউ শয্যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক এরই মধ্যে পূর্ণ হয়ে গেছে।
ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জ্যাঁ ক্যাসটেক্স বলেন, ‘আজকে যারা আক্রান্ত হয়েছেন, কালকে তারা হাসপাতালে ভর্তি হবেন। নভেম্বর কঠিন হতে যাচ্ছে।’
শুক্রবার দেশটিতে ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন; মৃত্যু হয়েছে ২৯৮ জনের।
রাশিয়া, পোল্যান্ড, ইতালি, সুইজারল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশেও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
গত ১০ দিনে ইউরোপে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা দ্বিগুণ। মহাদেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮ লাখ। মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ৪৭ হাজার মানুষের।
সূত্র: বিবিসি